স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১৬, ২০২২
স্মরণীয় বাণী
এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর কাছে এলো এবং বলল : ‘হে আল্লাহ্্র রাসূল! আমাকে নসীহত্ করুন।’ রাসূলুল্লাহ্ (সা.) তাকে তিনবার জিজ্ঞেস করলেন : ‘আমি যদি তোমাকে নসিহত্ করি তা মেনে চলবে তো?’ লোকটি তিনবারই জবাব দিল: ‘জ্বী, হে আল্লাহ্র রাসূল!’ তখন রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এরশাদ করলেন : তোমাকে নসিহত করছি যে, যখনই তুমি কোনো কাজ আঞ্জাম দেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে তখনি কাজটির পরিণতি সম্বন্ধে চিন্তা ও পর্যালোচনা করবে; কাজটা যদি উন্নতি ও হেদায়াতের উৎস হয়ে থাকে তাহলে তা আঞ্জাম দাও, আর তা যদি গোমরাহীর উৎস হয়ে থাকে তাহলে তা বর্জন করো।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘হয় আলেম হও, নয়তো ‘ইল্ম্ অর্জনে রত হও; কিন্তু স্বীয় সময়কে অযথা কাজে ও ভোগ-আনন্দে ব্যয় করো না।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘তোমাদের শিশুদেরকে সর্বপ্রথম যে শব্দাবলি শিক্ষা দেবে তা হচ্ছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘হে আলী! তোমার খাবারের শুরু ও শেষ যেন হয় লবণ। কারণ, লবণ সত্তরটি রোগ নিরাময় করে, যার মধ্যে ন্যূনতম হচ্ছে মস্তিষ্ক বিকৃতি, কুষ্ঠ ও দাদ।’
আমীরুল মু‘মিনীন হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘জেনে রেখ, কোরআনের তেলাওয়াতে যদি চিন্তা-ভাবনা ও পর্যালোচনা না থাকে তাহলে তাতে কোনোই লাভ নেই।’
হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘তোমরা যদি সাফল্য কামনা করো তাহলে দৃঢ়তার সাথে কর্মপ্রচেষ্টা অবলম্বন করো।’
আমীরুল্ মু‘মিনীন্ হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘যে কেউ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার খায়, ভালো করে চিবিয়ে খায়, পুরোপুরি তৃপ্ত হবার আগেই খাওয়া বন্ধ করে এবং পায়খানা-প্রস্রাবের বেগ হলে বিলম্ব করে না, মৃত্যু ছাড়া সে অসুস্থ হবে না।’
এক ব্যক্তি হযরত ইমাম জা‘ফর সাদেক (আ.)-এর কাছে আরয করল : ‘আমি হাতের কাজ (শিল্পকর্ম) পারি না এবং ব্যবসায়ের কাজও ভালো জানি না। তাই আমি এখন মাহ্রূম ও মুখাপেক্ষী।’ তখন হযরত ইমাম এরশাদ করেন : লোকদের কাছ থেকে অমুখাপেক্ষী হওয়ার জন্য তুমি শ্রমিকের কাজ করো এবং নিজের মাথায় করে বোঝা বহন করো। রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-ও কাঁধে করে একটি পাথর বহন করেন এবং তা তাঁর বাগানের একটি দেয়াল তৈরির কাজে ব্যবহার করেন; সে পাথরটি এখনো সেখানে আছে।’
হযরত ইমাম মূসা কাযেম্ (আ.) এরশাদ করেন : ‘এমন কোনো ওষুধ নেই যা কোনো না কোনো ব্যথাকে উস্কে না দেয়। তাই যতক্ষণ সম্ভব ওষুধ সেবন পরিহার করো, কারণ, এটাই শরীরের জন্য অধিকতর কল্যাণকর।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘মঙ্গলবার নখ কাট, বুধবার হাম্মাম করো এবং হাজামতের প্রয়োজন হলে তা বৃহস্পতিবারে আঞ্জাম দাও। আর জুমুআর দিন সর্বোত্তম খুশবু দ্বারা নিজেকে খুশবু করো।
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহ্্ মদকে এ কারণে হারাম করেছেন যে, তা পানকারীদের বিচারবুদ্ধিকে ধ্বংস করে দেয়।’
(মাফাতীহুল্ হায়াত্ গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : নূর হোসেন মজিদী