শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

স্মরণীয় বাণী

পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ২২, ২০১৬ 

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন : রোযা হচ্ছে আমার জন্য এবং আমি তার পুরস্কার দেব। (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২৯৪, হাদীস ১৫)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : সৌভাগ্য তাদের (জন্য) যারা আল্লাহ তা‘আলার জন্য ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত হয়েছে; তারা কিয়ামতের দিন পরিতৃপ্ত হবে। (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২৯৯, হাদীস ২)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : বেহেশতে রিয়ান নামে একটি দরজা আছে। সে দরজা দিয়ে শুধু রোযাদাররা প্রবেশ করবে। (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২৯৫, হাদীস ৩১)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : প্রতিটি জিনিসের যাকাত রয়েছে আর শরীরের যাকাত হচ্ছে রোযা। (আল কাফি, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৬২, হাদীস ৩)
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : রোযা হচ্ছে আগুনের বিপক্ষে ঢালস্বরূপ। (অর্থাৎ রোযা রাখার কারণে মানুষ জাহান্নামের আগুন থেকে নিরাপদে থাকবে)। (আল কাফি, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ১৬২)
মহানবী (সা.) বলেন : রোযাদার ব্যক্তি ইবাদতের মধ্যে থাকে, এমনকি যদি স্বীয় বিছানায় ঘুমিয়েও থাকে, যতক্ষণ না সে কোনো মুসলমানের গীবত করে। (তুহাফুল উকুল, পৃ. ৫৪)
ইমাম আলী (আ.) বলেন : আল্লাহ তা‘আলা রোযাকে ওয়াজিব করেছেন যাতে এর মাধ্যমে সৃষ্টির এখলাসকে (ঐকান্তিকতাকে) পরীক্ষা করতে পারেন। (নাহজুল বালাগা, হিকমত ২৫২)
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন : নাফ্সের রোযা দুনিয়ার সুখ-শান্তি অপেক্ষা অধিকতর মুনাফাসম্পন্ন। (গুরারুল হিকাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪১৬, হাদীস ৬৪)
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন : কলবের রোযা জিহ্বার রোযা থেকে উত্তম আর জিহ্বার রোযা উদরের রোযা থেকে উত্তম। (গুরারুল হিকাম, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪১৭, হাদীস ৮০)
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন : যে ব্যক্তির রোযা রাখাটা শুধু তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত হওয়া ছাড়া অন্য কোন ফলাফল রাখে না, সে নামায পড়ার উদ্দেশ্যে জাগ্রত ব্যক্তির ন্যায়, যে শুধু জেগে থাকা ও কষ্ট করা ব্যতীত অন্য কোন মুনাফা অর্জন করে না। (নাহজুল বালাগা, হিকমত ১৪৫)
হযরত ফাতিমা যাহরা (আ.) বলেছেন : রোযাদার ব্যক্তি যদি রোযা রেখে নিজের জিহ্বা, কর্ণ, চক্ষু ও শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সংযত না রাখে তবে তার রোযা কী কাজে আসবে? (বিহারুল আনওয়ার, ৯৩তম খণ্ড, পৃ. ২৯৫)
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন : আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন : ছবর ও নামায থেকে সাহায্য নাও। তিনি বলেন, রোযাই হচ্ছে ছবর। (ওয়াসায়েলুশ শিয়া, ৭ম খণ্ড, পৃ. ২৯৮, হাদীস ৩)
ইমাম মূসা কাযিম (আ.) বলেছেন : রোযাদার ভাইকে ইফতারি করানো মুস্তাহাব রোযা থাকার চেয়েও উত্তম। (আল কাফি, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৬৮, হাদীস ২)
ইমাম আলী রেযা (আ.) বলেছেন : যে ব্যক্তি রমযান মাসে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত তেলাওয়াত করবে তা অন্য মাসগুলোতে সম্পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াত করার অনুরূপ হবে। (বিহারুল আনওয়ার, ৯৩তম খণ্ড, পৃ. ৩৪৬)
সূত্র : সংকলন- রোখসানা আলম, মাহে রমযানের সওগাত, সাংস্কৃতিক বিভাগ, শাহীদাহ, বিণ্ডুল হুদা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, কোম, ইরান।