স্বাগতম হে মাহে রমজান
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ১৪, ২০২১

বছর ঘুরে মুমিন-মুসলমানের দ্বারে মহান আল্লাহর রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের বাণী নিয়ে আবারও এলো রমজানুল মোবারক। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে রোজা অন্যতম। মহান আল্লাহতায়ালা প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ-সবল সব মুসলমান নর-নারীর জন্য রোজা রাখা ফরজ করেছেন। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে মুসলমানরা এ তিন ধাপে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের প্রশান্তি লাভ করবেন।
এ মাসে মুসলমানরা তাদের দেহ ও আত্মা পরিশুদ্ধ করার সুযোগ পান। দীর্ঘ এক মাস সুবেহ সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার, ভোগবিলাস ও অসৎকর্ম হতে বিরত থেকে মুমিনরা রোজা পালন করে আত্মশুদ্ধি ও কৃচ্ছ্রসাধনে ব্রতী হন। কেবল পানাহার ও ভোগবিলাস থেকেই বিরত থাকা সিয়ামের শর্ত নয়, প্রকৃত সিয়াম সাধনা হচ্ছে সব ধরনের অন্যায় ও অপকর্ম থেকে বিরত থাকা। এ শিক্ষা শুধু রোজার মাসের জন্যই নয়, বছরব্যাপী রোজার শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে।
সিয়ামের মাধ্যমে আত্মিক ও নৈতিক উন্নতি ঘটে। লোভ-লালসা, হিংসা ও বিদ্বেষমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকে রোজার মূল চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। করোনার মতো দুর্যোগ থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহতালার কাছে বার বার সেজদায় নত হতে হবে, ক্ষমা চাইতে হবে নিজের পাপ ও গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য। রোজার মাধ্যমে শুধু পান, আহার ও জৈবিক চাহিদা বর্জনই নয়; আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য অন্তরের লোভ-লালসা ও নেতিবাচক চিন্তার লাগাম টেনে ধরতে হয়। রোজা অনুভব করায় ক্ষুধার্ত ও বঞ্চিত মানুষের কষ্ট।