সুইডেনে কোরআন অবমাননার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের ইসলামি সংস্কৃতি ও যোগাযোগ সংস্থার প্রধানের বাণী
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ২, ২০২৩
বাকস্বাধীনতার অজুহাতে ঈদুল আযহার দিনে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে ইসলামবিরোধী চরমপন্থীদের পবিত্র কোরআন অবমাননা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য সুইডিশ আদালতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ইউরোপের এই দেশটির সরকার ও নিরাপত্তা যন্ত্রের সুস্পষ্ট ইসলামবিদ্বেষকে আবারও বিশ্বের সামনে উন্মোচন করেছে। এই নির্লজ্জ কাজ সারা বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এটি একটি সুবিদিত বাস্তবতা যে “মত প্রকাশের স্বাধীনতা” এবং “মতামত প্রকাশের অধিকার” এর মতো কীওয়ার্ডগুলি-নৈতিকতা ও মানবাধিকার রক্ষায় ব্যবহার করার পরিবর্তে মূলত এই ধরনের নীতির মোকাবিলায় একটি উপকরণ এবং অজুহাত হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, সুইডিশ কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ পোড়ানোকে “বাকস্বাধীনতা” হিসেবে বিবেচনা করলেও তারা এই আক্রমণাত্মক ও অসহনীয় কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে “মত প্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের” দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে! সুইডিশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত এই সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যমূলক এবং তা সম্পূর্ণ সচেতনভাবে ইসলামবিরোধী উদ্দেশ্যকে প্রতিফলিত করে যা পাশ্চাত্যের প্রকাশ্য ও গোপন আন্দোলনগুলি বছরের পর বছর ধরে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করে আসছে।
নিঃসন্দেহে, মুসলিম দেশগুলি পবিত্র কুরআনের পবিত্রতা রক্ষাকে রেড লাইন হিসাবে বিবেচনা করে যা অতিক্রম করা উচিত নয় এবং সুইডেনে যা ঘটছে তার মতো আক্রমণাত্মক কাজের মুখে তারা কখনই নীরব থাকবে না। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ইসলামি সংস্কৃতি ও যোগাযোগ সংস্থা সুইডেনে পবিত্র কুরআনের অবমাননার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সুইডেনের সরকারকে কোরআন বিরোধী সমাবেশে বাধা প্রদান এবং মুসলিমদের ধর্মীয় পবিত্রতা লঙ্ঘন ও তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে অবমাননা করার জন্য বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানাচ্ছে।
সুইডেনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি-নির্ধারণী ব্যবস্থায় পদ্ধতিগত ও নির্লজ্জভাবে ইসলাম ও কোরআনবিরোধী পরিকল্পিত পদক্ষেপের ফলে শেষ পর্যন্ত এই দেশে ধর্মীয় বিদ্বেষের প্রসার ঘটবে, যার ফলে সুইডিশ সরকার ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদ্যমান প্রবণতার পরিবর্তন এবং সেটিকে ইসলামি বিশ্বের প্রতি একটি গঠনমূলক ও মিথস্ক্রিয় দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রতিস্থাপন করার মধ্য দিয়েই শান্তি ও ন্যায়বিচারের প্রসার ঘটতে পারে।
মোহাম্মদ মাহদি ইমানিপুর
প্রধান
ইসলামি সংস্কৃতি ও যোগাযোগ সংস্থা
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান