বৃহস্পতিবার, ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

সামরিক শক্তিতে ইরানের সাফল্য

পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ২২, ২০১৯ 

news-image

ইরান সারা বিশ্বে এখন যেসব কারণে বিশেষ আলোচিত তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এর সামরিক শক্তি। সামরিক শক্তি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় না গিয়েও বলা যায়- ইরানের হাতে রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ সক্রিয় সেনা সদস্য। এছাড়া আছে সাড়ে তিন লাখ রিজার্ভ সেনা। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বাসিজ, যার সদস্য সংখ্যা দশ লাখের বেশি। এতে পুরুষের পাশাপাশি নারী সদস্যও রয়েছে। সব মিলিয়ে ইরান যেকোনো সময় দশ লাখের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেনা মোবিলাইজ করতে পারে এবং এ সুবিধা বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি দেশের রয়েছে। ইরানের হাতে রয়েছে নিজস্ব সামরিক শিল্প-কারখানা যেখানে ট্যাংক, আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ার, গাইডেড মিসাইল, সাবমেরিন, সামরিক নৌযান, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, রাডার সিস্টেম, হেলিকপ্টার এবং জঙ্গিবিমান তৈরি করা হয়। এছাড়া ইরানের কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে- হুত, কাউসার, জেলাল, ফতেহ-১১০, শাহাব-৩ ও সিজ্জিল ক্ষেপণাস্ত্র এবং নানা ধরনের ড্রোন।

ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি

ইরানের আক্রমণাত্মক ও প্রতিরক্ষা কৌশলের প্রধান স্তম্ভ হল অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিতে দেশটির অবস্থান এখন বিশ্বে চতুর্থ। ইরান বিশ্বের যত বড় পরাশক্তির হাতেই আক্রান্ত হোক না কেন দেশটির ব্যালিস্টিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টা আঘাতগুলো প্রতিপক্ষের জন্য হজম করা হবে খুবই কঠিন এবং অসহনীয়। তাই ইরানের শত্রুরা এ দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখে সামরিক হামলার কথা খুব কমই ভাবতে বাধ্য। উল্লেখ্য, ইরান এর আগে নিজস্ব প্র্রযুক্তিতে তৈরি করেছে- ইমাদ ও ফজরের মতো উন্নত প্র্রযুক্তির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

বিদেশি হুমকি মোকাবিলায় ইরানের প্রস্তুতি

গত ১৫ই মে বুধবার ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, শত্রুর যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় তার দেশের সামরিক প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান সর্বোচ্চ পর্যায়ের সামরিক প্রস্তুতি নিতে নক্ষম হয়েছে; এর মাধ্যমে একথা পরিষ্কার হয় যে, শত্রুর নিষেধাজ্ঞা ইরানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে কোনো রকমের বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। এমনকি এখন আমেরিকা ও তার আঞ্চলিক পুতুল সরকারগুলো ইরানের সামরিক শক্তিকে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে।