রুহানির সঙ্গে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাত: ‘ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়’
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির সঙ্গে রোববার বৈঠক করেছেন তেহরান সফররত ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। বৈঠকে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিস্তিনির পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা ভুল এবং এর মাধ্যমে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিদ্যমান উত্তেজনায় পেট্রোল ঢেলে দিয়েছেন।
ড. রুহানি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অবস্থা এমন যে, এখন কারো তাতে পেট্রোল ঢালা উচিত হবে না। তিনি আরো বলেন, ইরান এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা, যুদ্ধ ও রক্তপাত বন্ধে সহায়তা এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে চায়। তিনি বলেন, তেহরান ও লন্ডনের মধ্যকার এ আলোচনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করতে পারে।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, এটা পরিষ্কার যে, এ অঞ্চলের দুটি দেশকে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করেছে ইরান এবং কেউ ইরানের ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করতে পারে না।
২০১৫ সালে ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার পর তেহরান ও লন্ডনের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। এ সমঝোতার বাস্তবায়নের পর তেহরান ও লন্ডনের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার না হওয়ায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে ইরান ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে এবং এতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার হয়েছে। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বায়তুল মুকাদ্দাস শহর নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছেন লন্ডন তাকে সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করে না। পরমাণু সমঝোতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি ইতিবাচক চুক্তি এবং একে এমনভাবে ধরে রাখা দরকার যাতে ইরানের জনগণ এ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে পারে। বৈঠকে ব্রিটিশমন্ত্রী ইরানের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এদিকে, ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলী আকবর সালেহির সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে তারা পরমাণু সমঝোতা ও দু দেশের মধ্যে ব্যাংকিং লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। – পার্সটুডে।