বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভের আরও কাছে ইরানের বায়ুমিল
পোস্ট হয়েছে: জুন ৭, ২০২১

ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তানের প্রাচীন বায়ুমিল বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে মিলটির বায়বীয় ম্যাপিং প্রকল্প শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাদেশিক পর্যটনের উপপ্রধান মানসুরেহ মোল্লা ইলাহি বলেন, প্রদেশের আসবাদস বায়ুমিলের ইউনেসকো নিবন্ধনের জন্য দলিলগুচ্ছ প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন করেছি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই প্রক্রিয়া দ্রুততর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাটির তৈরি বায়ুমিলটির যন্ত্রপাতিগুলো হাজার বছরের পুরনো। ইরানি মালভূমির পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব জুড়ে মে মাসের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত বাৎসরিক ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত হয়। টানা ১২০ দিনের শক্তিশালী বাতাস মিলটিকে সচল রাখে।
ইউনেসকো বলছে, আসবাদ হচ্ছে শস্য দানা ভাঙানোর স্মার্ট কৌশল। প্রাচীনকালে ইরানের পূর্বাঞ্চলের মানুষজন এই কৌশলটি কাজে লাগাতো। এটা ছিল পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতাকে সুবিধাতে রূপান্তরিত করে প্রকৃতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা।
এদিকে, ইনসাইক্লোপেডিয়া ব্রিটানিকা বলছে, বায়ুকলটি সম্পর্কে সর্বপ্রথম যা জানা যায় তা হচ্ছে, এটি ৫৪৪ সালে গড়ে ওঠা একটি পারসিক মিল কারখানা এবং ৯১৫ সালে ইরানের সিস্তানে এই ধরনের বায়ুমিল নির্মাণ করা হয়।
দ্বিতীয় শতাব্দীর শুরুর দিকে পূর্ব ও পশ্চিমা কিছু রাষ্ট্র পারস্য থেকে এই ধরনের মিল তৈরি করার প্রযুক্তি অর্জন করে। সময়ের ব্যবধানে মিলটির আদিকালের এই নকশা অবিরত পরিমার্জিত হতে থাকে। সূত্র: তেহরান টাইমস।