মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

বিদেশে ইরানি ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিশেষ তহবিল

পোস্ট হয়েছে: মে ২৪, ২০১৭ 

news-image
ইরানে ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিশেষ তহবিল গঠন করেছে দেশটির বাইরে ইরানি ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্যে। এর অংশ হিসেবে আর্মেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় ইরানি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুসরণে যেসব স্থাপনা রয়েছে তা সংস্কার ও উন্নয়নে ওই বিশেষ তহবিল থেকে খরচ করা হবে। অন্যদেশে এমন সব স্থাপনা ও ঐতিহ্য রয়েছে যার সঙ্গে ইরানের সংস্কৃতির সংযোগ রয়েছে এমন সব স্থাপনায় এ তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য ভারতীয় উপমহাদেশে দীর্ঘকাল মুসলিম শাসন ও রাজভাষা হিসেবে ফারসি ভাষা চালু থাকায় এমন অনেক ইরানি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা গড়ে উঠেছিল। বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্য হিসেবে ভারতে তাজমহল নির্মাণে ইরানের স্থপতিরা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বাংলাদেশপাকিস্তানেও ইমামবাড়াহোসেনি দালান সহ নানা ধরনের ইরানি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্থাপনা রয়েছে।
বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইরান এধরনের স্থাপনা সংস্কার ও উন্নয়নে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে এবং এই বিশেষ তহবিল থেকে এধরনের প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হবে। আর্মেনিয়ার নীল মসজিদ এর অন্যতম। আর্মেনিয়ার রাজধানি ইয়েরেভ্যানে ১৮ শতকে নীল মসজিদ ইরানি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুকরণে নির্মিত হয়। এছাড়া ভারতের দিল্লিতে বাদশাহ হুমায়ুনের মাজার ও বাগান অন্যতম। এধরনের ইরানি উদ্যান ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম এবং ইরানের স্থপতি মিরাক মির্জা গিয়াস তা নির্মাণ করেছিলেন।
তাঞ্জানিয়ার জাঞ্জিবার দ্বীপে কিজিমকাজি মসজিদটি ১১০৭ সালে ইরানের সিরাজ থেকে আগত বসতি স্থাপনকারীরা নির্মাণ করে। জাঞ্জিবারে কিদিচি পার্সিয়ান হাম্মামখানা (গোসলখানা) ১৮৫০ সালে সুলতান সাইয়েদ সাইদ তার ইরানি স্ত্রীর জন্যে নির্মাণ করেন। ১৮৭০ থেকে ১৮৮৮ সালের মধ্যে জাঞ্জিবারে হাম্মামখানা নির্মিত হয়। এধরনের হাম্মাম খানায় ঐতিহাসিক ভবন সংযুক্ত রয়েছে। ইরানের সিরাজ থেকে স্থপতিরা এসে এসব হাম্মামখানা ও ঐতিহাসিক ভবনগুলো নির্মাণ করেন।
তিবলিসি ও জর্জিয়ায় এধরনের পারস্যরীতির ঐতিহাসিক হাম্মামখানা নির্মাণ করা হয়। ইরাকে তাক কাসরা নামে একটি স্মৃতিসৌধ যেটি সালমান পাক শহরে নির্মাণ করে সাফাভী আমলের রীতি অনুসারে। কাজার শাসক নাসিরুদ্দিন শাহর রাজসভায় প্রধানমন্ত্রী আমির কবির যিনি ইরানি এবং এ মহান ব্যক্তি আমৃত্যু অর্থাৎ ১৮৪৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৮৫২ সালে তার মৃত্যুর পর ইরাকের কারবালায় তাকে দাফন করা হয়। তার মাজার কারবালায় ইমাম হোসেনের (তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) মাজার প্রাঙ্গনে। ফিনান্সিয়াল ট্রিবিউন