ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের মানোন্নয়ন কোর্স : ফারসি শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ৮, ২০১৭
নাজমুল নাহার*
বুনিয়াদে সাদী বা সাদী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ৮৩তম ফারসি ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক মানোন্নয়ন কোর্স ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত আল্লামা তাবাতাবায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বুনিয়াদে সাদী ফারসি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে কাজ করে এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্যের সাথে জড়িত অ-ইরানি ফারসিপ্রেমীদের নিয়ে এ কোর্সের আয়োজন করে থাকে। এর মাধ্যমে ইরান ফারসির স্থানীয় ভাষাভাষীদের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফারসির সাথে জড়িত শিক্ষার্থীর এক মিলনক্ষেত্র রূপে কাজ করে। এই কোর্সটি ২ আগস্ট ২০১৬ সালে শুরু হয়ে ২৯ আগস্ট কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও সনদ বিতরণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়। এ মানোন্নয়ন কোর্সে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আজারবাইজান, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইতালি, জর্জিয়া, আর্মেনিয়া, তিউনিশিয়াসহ বিশ্বের ৪১ দেশের মোট ২১২ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। এক মাসব্যাপী চলা এ কোর্স বুনিয়াদে সাদী ও আল্লামা তাবাতাবায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিকতায় ফারসির মিলনমেলার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। যা আপাত দৃষ্টিতে সমাপ্ত হলেও আমার হৃদয়ের ফারসির প্রেমবাগিচায় অম্লান ও অক্ষয় হয়ে প্রেরণা যোগাবে সব সময়। এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি কাছ থেকে জানার সুযোগ ঘটায় ইরান সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আমাদের প্রশিক্ষণ কোর্সে ফারসি সাহিত্যের বিভিন্ন প্রকার কবিতা, ছোট গল্প পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কবিতা ও ঃবীঃ এ অন্তর্ভুক্ত শব্দ ও বাক্যের মধ্যে যেগুলো অপরিচিত সেগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের চিহ্নিত করার জন্য শিক্ষকরা প্রথমে পড়তে বলতেন এবং পরে সেগুলো ব্যাখ্যা দিতেন। সেই বিষয়গুলোর ওপর নিজ মতামত, বিষয়টির সারমর্ম ফারসিতে ব্যাখ্যা করার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ির কাজ দেয়া হতো। এভাবে এক মাসব্যাপী ফারসি কবিতা ও গল্প এবং এতে ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্যের শাব্দিক, পারিভাষিক, আভিধানিক ও আলংকারিক অর্থের সাথে পরিচিতি এবং এগুলোর ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক কার্যকরী শিক্ষাদান পদ্ধতিতে আমাদের পাঠদান করা হয়েছে।
আমাদের পাঠ্যসূচিতে ইরানের বিভিন্ন স্থান, গম্বুজ, অনুষ্ঠান, ভাস্কর্য, কারুকাজ ইত্যাদি পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব বিষয়ের সাথে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর নিজ দেশের কী কী বিষয় সাদৃশ্যপূর্ণ ও কী কী বিষয় আলাদা সেসব বিষয় শিক্ষক মহোদয় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জানতে চাইতেন। পাঠদানের শুরুতেই ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ার দক্ষতা যাচাই করতেন। এরপর তিনি সঠিক উচ্চারণগুলো ধরিয়ে দিতেন। বাড়ির কাজের মধ্যে ছিল যেসব বিষয় শ্রেণিতে পড়া হতো সেগুলো হলে ফিরে বিনংরঃব এ ঝবধৎপয করা এবং সেসব বিষয় নিজের মতো করে লেখা এবং পরে শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ব্যাখ্যা দেয়া। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে নিজ দেশের দর্শনীয় স্থান ও মানচিত্র পরিচিতিও এ ক্লাসের আলোচ্য বিষয় ছিল। প্রতিটি ক্লাসেই শিক্ষকম-লী ও ছাত্র-ছাত্রী দুই দিক থেকেই আন্তরিকতাপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল।
প্রত্যেক শিক্ষকই ছিলেন অত্যন্ত আন্তরিক ও নিবেদিতপ্রাণ। তাঁরা সবাই প্রতিটি বিষয় বুঝানোর পর একাধিকবার জিজ্ঞেস করতেন, ‘তোমরা বুঝেছ কিনা; না বুঝলে একাধিক বার বলবে; লজ্জা পাবে না। কারণ, তোমরা শিখতে এসেছ।’ প্রশ্ন করার পাশাপাশি তাঁরা নিজেরাও ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝার দক্ষতা পর্যবেক্ষণ করতেন যে, তারা আসলেই বুঝেছে কিনা। শিক্ষকরা একই বিষয় বিভিন্ন উদাহরণ প্রয়োগ করে বুঝাতেন। প্রয়োজনে ছবি এঁকে, অভিনয় করে হলেও বিষয়টি পরিষ্কারভাবে না বুঝতে পারা পর্যন্ত চেষ্টা অব্যাহত রাখতেন।
তাছাড়া, অন্যান্য শিক্ষক ক্লাসে উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করতেন যে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ক্লাস কতটা আন্তরিক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের জন্য কতটা সুযোগ দেন। মূল্যায়নের ব্যাপারে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে শিক্ষককে মার্কস দেয়ার ব্যবস্থা থাকত যা খুবই চমৎকার একটি পদ্ধতি।
পরিবেশ থেকে শিক্ষাগ্রহণের বিষয়ের মধ্যে ছিল শিক্ষাসফর। শিক্ষাসফরের স্থান ছিল ইসফাহানÑ যাকে পৃথিবীর অর্ধেক বা ‘নেসফে জাহান’ বলা হয়। ইসফাহানে তিন দিনের শিক্ষাসফরে ছিলাম। ইসফাহানে শেখ লুৎফুল্লাহ মসজিদ, নাকশে জাহান, জাদুঘর, ময়দানে ইমাম খোমেইনী, মিনার ইত্যাদি ছিল অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন।
এছাড়া রাজধানী তেহরানের মোট ২৮টি দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ বোর্যে মিলাদ (ইরানে অবস্থিত পৃথিবীর ৬ষ্ঠ উচ্চতম টাওয়ার), আযাদী টাওয়ার, দেফায়ে মুকাদ্দাস (প্রতিরক্ষা যুদ্ধের স্মৃতিজড়িত বিষয়ে নির্মিত) জাদুঘর, আসেমান নামা (নভোথিয়েটার), ইমাম খোমেইনীর বাড়ি, পারসিয়ান গালফ (কৃত্রিম), পোলে তাবীয়াত (ব্রিজ), কাখে গুলিস্তা (জাদুঘর), তাজরিশ বাজারসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান।
আমাদের শিক্ষক ড. রেজা সাহরায়ী বলেন যে, এটা একমাসে রেকর্ড পরিমাণ দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন।
ইরান রাষ্ট্র হিসেবে অনেক উন্নত, বিশেষ করে আমি যা দেখলাম সেগুলো সম্পর্কে এভাবেই বলব যে, ইরানের উন্নতি অগ্রগতি, জনগণের রুচি, সংস্কৃতি, পরিষ্কার-পরিছন্নতা ইত্যাদির ব্যাপকতা ফারসির অমিয় সুধা ও প্রেমের কারণেই সম্ভব হয়েছে। কারণ, ফারসি প্রেমের ভাষা। আর তাই ফারসির প্রেমিকদের ফারসি কবি রুমি, সাদী, জামীর স্বপ্নভূমি ইরান। তাই এই ইরানকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে এবং ফারসি প্রেমিকদের ইরানের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে কাছ থেকে বোঝার সুযোগস্বরূপ বুনিয়াদে সাদী কর্তৃক এ আয়োজন। ফারসি প্রেমিকদের পরিচ্ছন্ন ও যানজটমুক্ত রাস্তা-ঘাট এবং যানবাহনের শব্দমুক্ত পরিবেশ উপহার না দিলে কী করে চলে! তাই তো দেখি ইরানের রাস্তাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। যানজটমুক্ত, দূষণমুক্ত, হর্নের কোন শব্দ পাইনি। ফারসি প্রেমিকদের জন্য কোন কষ্টই অনুভূত হতে দিতে চায় না যেন ইরান, তাই এমন ব্যবস্থা করেছে তারা। যাতে ফারসির প্রতি, ইরানের প্রতি ভালোবাসার বৃদ্ধি না ঘটে আর উপায় না থাকে।
নিরাপত্তার বিষয়টি চোখে পড়ার মতো ছিল। কোথাও কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামা, কোন্দল দেখি নি। এক শান্ত-নিবিড় নির্মল প্রশান্তির জায়গা যেখানে নিশ্চিন্ত না হয়ে পারে না কেউ। কাউকে রাগ করতে দেখি নি। অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে। এমনকি কাউকে দেখিনি ভ্রু জুগলকে কুঞ্চিত করতে পর্যন্ত। তবুও পুলিশি নিরাপত্তা সার্বক্ষণিক আমাদের সঙ্গী ছিল। জনগণের রুচি ও সংস্কৃতির পরিচয় তো এখানেই পাওয়া যায়। কারণ, সংস্কৃতি তো সেটাই যা মানুষের জীবনের দৈনন্দিন বিষয়াবলি পর্যবেক্ষণে ধরা পড়ে। ইরানের অগ্রগতি-উন্নতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় হতে খুব বেশি দিন দেরি হবে না বলেই আমার মনে হয়।
ইরানের নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত জনদরদি যাঁরা তাঁদের দেশের ঐতিহ্য, আতিথেয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলেই আমার মনে হয়েছে। বুনিয়াদে সাদীর প্রধান ড. হাদ্দাদ আদেল সমাপনী অনুষ্ঠানে সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এই একমাস ইরানে ছিলেন। কোথাও কি কখনো কাউকে দেখেছেন কারো সাথে কোন্দল করতে? বা কারো সাথে কাউকে খারাপ আচরণ করতে?’ উত্তর আসল, ‘না।’ তিনি বললেন, ‘ইরান কখনোই কাউকে আক্রমণ করে নি। ইরান আক্রান্ত হয়েছে। ইরান শুধু বন্ধুত্বই করতে জানে, শত্রুতা নয়। অথচ পরাশক্তির পক্ষ থেকে কিছুদিন পর পর বলা হয় আমরা নাকি বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। যার কোন প্রমাণ ও নজির নেই।’
ইরানের জনগণ এক কথায় আন্তরিক, সৌহার্দ্র্যপূর্ণ আচরণসম্পন্ন ও বন্ধুভাবাপন্ন। এই জাতির মূল উদ্দেশ্য হল প্রেমের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি স্থাপন। আমার ঠিক এটাই মনে হয়েছে।
এই এক মাসে আমার ফারসি ভাষার মান অনেক উন্নত হয়েছে। ভাষার চর্চার পরিবেশ পুরোটাই ছিল। পারস্পরিক বক্তব্য, ভাবের আদান-প্রদান, মত বিনিময়, ইত্যাদি শত ভাগ ফারসিতে করার একটা ভাল পরিবেশ ছিল। বিভিন্ন জিনিস চারপাশে যা দেখি বা ব্যবহার করি তার সবকিছুই ফারসিতেই ব্যবহার করতে করতে এবং দেখতে দেখতে ও শুনতে শুনতেই আত্মস্থ হবার সুযোগ ব্যাপক থাকায় কথ্য ভাষাগত উন্নতির বিষয়টি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পেয়েছি।
একমাস ইরানে অবস্থানকালে আমার একটি স্মরণীয় স্মৃতি জানাতে চাই তা হল ইরানি শিক্ষকদের আন্তরিকতা সম্পর্কিত। ইরানের সব শিক্ষকই অত্যন্ত আন্তরিক। আমার প্রিয় সম্মানিত একজন শিক্ষক আব্বাস নাজী। তাঁর শিক্ষাদানের ধরন আমাকে মুগ্ধ করেছে।
একদিন আমার শিক্ষককে আমি বললাম, আমার ভালো ফারসি বলতে সমস্যা হয়। কারণ, আমি অ-ইরানি আর তাই শোনার দক্ষতা দুর্বল। তাই আমি যখন কোন কিছু শুনি তখন দ্রুত বলার কারণে শব্দগুলো বুঝি না। আমার কাছে এটা খুবই কঠিন মনে হয়।
তখন তিনি আমাকে বললেন, তুমি বেশি বেশি শুনবে। মনে রাখবে, ভাষা শেখার ও বোঝার সবচেয়ে প্রথম এবং কার্যকরী উপায় হলো শোনা। প্রথমে শুনবে; তারপর যা শুনলে তা বলবে, তারপর পড়বে এবং সবশেষে তা লিখবে। ইরানি ফিল্ম যেগুলোর সাবটাইটেল রয়েছে, মূল ফারসি ডাবিং নয়, সেগুলো দেখবে এবং শুনবে। আরো মনে রাখবে, ভাষা শেখা কঠিন কিছুই নয়। কোন শিশুকে দেখে এটার প্রমাণ পেতে পার। একটা শিশু জন্মের প্রথম দুই বছর শুধু শোনে। তারপর ২ বছর ধরে যা শুনেছে সেগুলো আস্তে আস্তে বলার চেষ্টা করে। তারপর সে পড়ে তারপর তা লেখে। আমি অত্যন্ত অবাক হয়ে গেলাম। ভাবলাম, তাই তো! এভাবে তো কোন দিন ভাবি নি। সত্যিই তো তাই। ওস্তাদ নাজী একটি বিষয়কে অনেকবার বুঝানোর পর তা বাস্তবে বুঝানো ও দেখানোর জন্য ময়লার ঝুড়ি নিজ হাতে ক্লাসে এনে পরিষ্কার করলেন। আমি খুবই অবাক হয়ে গেলাম। একজন শিক্ষক ফারসির পাঠদানে কতটা আন্তরিক হলে একটা ঝুড়ি নিজ হাতে এনে ছাত্রছাত্রীদের বুঝাতে পারেন।
আমরা যেদিন ইসফাহানে গিয়েছিলাম আমার মনে পড়ছে, ওস্তাদ নাজী শিক্ষার্থীদের খাবারের বড় বক্স নিজে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন। ইরানের রাস্তা তো ঢালু আর উঁচু-নিচু। একজন শিক্ষক কতটা নিরহংকার ও শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হলে এটা করতে পারেন। স্যালুট ইরানকে ও ফারসি ভাষাকে যারা এমন শিক্ষক তৈরি করে।
ইরানে অবস্থানকালে আমাদের খাবারের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে বলতে হয় যে, ইরানের জনগণের খাদ্যাভ্যাস এবং বাংলাদেশের খাদ্যাভ্যাস সম্পূর্ণ আলাদা। তাই এটা অনেক অসুবিধাজনক ছিল। যেমন : আমরা মরিচ ও ঝাল খাই; ইরানিরা ঝাল খায় না। আমরা সবজি জাতীয় তরকারি বেশি খাই, ওরা নানা রকম কাঁচা সবজি সালাদ হিসেবে প্রচুর পরিমাণে খায়। ইরানিরা তরকারিতে ঝোল কম খায়, আমরা ঝোল বেশি খাই। তাই শুকনো খেতে অনেক কষ্ট হতো।
ইরানের আবহাওয়া অত্যন্ত শুষ্ক। আমরা তো বুঝতে পারি নি এতটা শুষ্ক। আমাদের দেশে শীতকালে আবহাওয়া যতটা শুষ্ক থাকে তার চেয়ে বহুগুণ শুষ্ক। এতে আমাদের খাপ খাওয়াতে খুবই সমস্যার পড়তে হয়েছে। শরীর শুষ্ক ও রুক্ষ হয়েছে পড়েছিল। আমি ও আমাদর ডিপার্টমেন্টের মেহজাবিনসহ ইব্রাহিম ভাই সবাই অপ্রস্তুত হয়েছে পড়েছিলাম। মুমিত আল-রশিদ স্যারকে ধন্যবাদ যে, তিনি কষ্ট করে লোশন ও ভ্যাসলিন আমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয়ে তিনি আমাদেরকে অনেক সাহায্য করেছেন ও পরামর্শ দিয়েছেন। এজন্য স্যারের কাছে আমরা অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।
*এমফিল স্টুডেন্ট
ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়