বৃহস্পতিবার, ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

নওরোজের পর্যটক বরণে প্রস্তুত ইরানের বিশ্ব ঐতিহ্যগুলো

পোস্ট হয়েছে: মার্চ ২৭, ২০২২ 

news-image

ইরানে শুরু হয়েছে নওরোজ তথা ফারসি নতুন বছরের দীর্ঘ ছুটি। ১৩দিনের টানা ছুটিতে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে ইরানের বেশ কয়েকটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।

ইরানের নতুন বছরের (যা ২১ মার্চ থেকে শুরু হয়) আগে দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশের বাম দুর্গ, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের তখত-ই সোলেমান এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় ফারস প্রদেশের পার্সেপোলিসের মতো  বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রস্তুত করা হয় পর্যটকদের জন্য। খবর বার্তা সংস্থা সিএইচটিএনএ’র।

খবরে বলা হয়, স্থানীয় মানুষজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনুরাগী এবং পরিবেশ কর্মীদের পাশাপাশি কিছু বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) সহযোগিতায় এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ঐতিহাসিক বম দুর্গ

বাম দুর্গের (আর্গ-ই বাম) উৎপত্তি হাখামানেশী যুগে (খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ থেকে ৪র্থ শতাব্দী)। ৭ম থেকে ১১শ শতক পর্যন্ত মাটির ইটের তৈরি দুর্গের উৎকর্ষকাল ছিল। এটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথের মোড় এবং রেশম ও সুতির পোশাক উৎপাদনের জন্য পরিচিত একটি স্থান।

এখানে গভর্নরের কোয়ার্টার এবং সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা রয়েছে। বর্তমানে এটি একটি বিশাল সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপের কেন্দ্রবিন্দু।

তখত-ই সোলেমান

তখত-ই সোলেমান (সলোমনের সিংহাসন) পারসিয়ান জাতির ইতিহাসের বিভিন্ন যুগের সাক্ষ্য বহন করে। এটি পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উচ্চভূমিতে অবস্থিত। যেখানে একটি তুষার আচ্ছাদিত পর্বতশ্রেণির পটভূমিতে একটি হ্রদ দেখা যাচ্ছে।

মন্দির কমপ্লেক্সের ভিত্তিটি প্রায় ৩৫০/৫৫০ মিটার একটি ডিম্বাকৃতির ঢিবির উপর অবস্থিত। আর একারণেই ঐতিহাসিক সঙ্গমটি ভূতাত্ত্বিকভাবে একটি অস্বাভাবিক অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাকৃতিক পরিবেশ, স্থানীয়দের সমৃদ্ধ সুরেলা রচনা বিদেশী ভ্রমণকারীদের আকর্ষণ করে।  এক মুহূর্তের জন্যও যারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করতে চান তাদের জন্য আকর্ষণীয় একটি স্থান।

পার্সেপোলিস

বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান পার্সেপোলিস তখত-ই জামশিদ নামেও পরিচিত। এটি  ধ্বংসাবশেষ কুহ-ই রহমত (রহমতের পাহাড়) এর পাদদেশে অবস্থিত, যেটি হাখামানেশী সাম্রাজ্যের আনুষ্ঠানিক রাজধানী ছিল। পার্সেপোলিস ফারস প্রদেশের শিরাজ শহরের ৬০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

অনন্য স্থাপত্য, নগর পরিকল্পনা, নির্মাণ প্রযুক্তি এবং শিল্প বিবেচনায় রাজকীয় শহর পার্সেপোলিস প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে স্থান করে নেয়। ৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট স্পষ্টতই পারসিকদের প্রতি প্রতিশোধ হিসেবে শহরটি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। কারণ পারস্য রাজা জারক্সেস এরও প্রায় ১৫০ বছর আগে গ্রীক শহর এথেন্স পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। সূত্র: তেহরান টাইমস।