সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

নওরোজ উৎসবকে কেন্দ্র করে ইরানে কেনাকাটার ধুম

পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১৯, ২০১৭ 

news-image
ইরানের নওরোজ বিশ্বের প্রাচীন উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন ইরান বিস্তৃত ছিল মধ্য এশিয়া ও ককেশাস অঞ্চল থেকে ভারতবর্ষমধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর-আফ্রিকার এক বিশাল অঞ্চলে। তাই এইসব অঞ্চলের অন্যতম প্রধান উৎসব হল এই নওরোজ।
জাতিসংঘের সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ২০১০ সালে নওরোজ উতসবকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করে। ওই সংস্থা নওরোজ উৎসবের প্রথম দিন তথা ২১ মার্চকে বিশ্ব নওরোজ উৎসব হিসেবে ঘোষণা করেছে।
নওরোজ উৎসবের প্রাক্কালে কেনাকাটার ধুম পড়ে যাওয়াও লক্ষণীয়। সাধারণত এ সময় বেশি বেশি কেনা হয় পোশাকআজিল নামে পরিচিত শুকনো ফল ও বুট-বাদামের মিশ্রণ,  তাজা ফলমিষ্টি ও ঘরবাড়ির কোনো কোনো সামগ্রী ইত্যাদি। নতুন বছরে সবাই নতুন পোশাক পরতে আগ্রহী। এ ছাড়াও তারা মেহমানকে আপ্যায়নের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার কিনতে চান। ফলে ব্যবসায়ীদের জন্যও এই সময়টা খুব ভালো কাটে।
ইরানিরা নওরোজের সময় ঘরের মধ্যে ৭টি আইটেম সাজিয়ে রাখে। এই সাতটি আইটেমকে বলা হয় হাফত সিন। হাফতসিন’ অর্থ সাতটিসিন। ওই সাতটি জিনিষের নামের প্রথম অক্ষর ফারসি বা আরবি বর্ণমালার সিন’ অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়ায় সেগুলোকে এ নাম দেয়া হয়েছে। এ ৭টি সামগ্রী হল, ‘সাবজে’ বা গম বা ডালের সবুজ চারাসামানু বা গমের চারা দিয়ে তৈরি করা খাবারসিব বা আপেল, ‘সেনজেদ’ নামের একটি বিশেষ ফল, ‘সোমাক্ব’ নামক বিশেষ মশলাসির বা রসুন এবং সের্কে বা সিরকা।
এসব সামগ্রী হল নব-জীবনপ্রবৃদ্ধিফলবান হওয়াপ্রাচুর্যসৌন্দর্যসুস্থতাভালোবাসাআনন্দ ও ধৈর্য প্রভৃতির প্রতীক। এ ছাড়াও নওরোজের এ দস্তরখানে ডিমফুলআয়নাপানিলাল রংয়ের ছোট মাছ ও ধাতব মুদ্রা রাখা হয়। এসবেরই রয়েছে বিশেষ অর্থ।
ফুল ও সবুজ কিশলয় আনন্দ ও নব-জীবনের প্রতীক। প্রকৃতিতে নব-জাগরণের বার্তা নিয়ে আসে বসন্ত। চারদিকে ফুলের সমারোহ এটাই মনে করিয়ে দেয় যে কেবল প্রকৃতি নয় মানুষের মনও হওয়া উচিত ফুলের মত সুরভিত ও সুন্দর।