চবাহার বন্দর নিয়ে ত্রিদেশীয় বৈঠক; আমরা সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত: রুহানি
পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ১৪, ২০২০

বহুপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার অন্যতম একটি কার্যকর পন্থা হচ্ছে আঞ্চলিক সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগানো যা কিনা উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ইরানের কৌশলগত চবাহার সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইরান, ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে আজ ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বৈঠক শুরুর আগে উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শওকত মির্জায়েভ গতকাল অনলাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের চবাহার সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আর্থ-রাজনৈতিক দিক থেকে সবসময়ই ইরানের চবাহার সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব ছিল। ভৌগোলিক দিক দিয়েও এটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত। এ বন্দরের সঙ্গে পারস্য উপসাগর, ওমান সাগর ও ভারত মহাসাগরের সংযোগ থাকায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১৬ সালের জুনে চবাহার বন্দর বিষয়ে এই তিন দেশের মধ্যে চুক্তি সইয়ের পর এখন এর গুরুত্ব আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উজবেকিস্তানও এই বন্দর প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ভবিষ্যত সহযোগিতা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস বন্দর প্রকল্পে ভারতের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দেশটির পুজিবিনিয়োগের কথা উল্লেখ করে এক প্রতিবেদনে লিখেছে, আফগানিস্তানে ভারতের পণ্য সরবরাহের জন্য চবাহার বন্দরের বিশেষ গুরুত্ব থাকায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে এ বন্দরকে বাদ দিয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এ বন্দরের অশেষ গুরুত্বের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র এখানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেনি। বন্দর বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবি হাফিজের একটি কবিতা পাঠ করেন যেখানে বলা হয়েছিল, রাতের বিরহ ও দিনের বিচ্ছেদের অবসান ঘটেছে-আমাদের বন্ধুত্ব সবসময়ের জন্য অটুট থাকবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ত্রিপক্ষীয় করিডর এ অঞ্চলের বাণিজ্য পথ পাল্টে দেবে এবং এ করিডর সমগ্র এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নতির পথে বিরাজমান বাধা দূর করে দেবে।
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি বলেছেন, এ অঞ্চলে কেউ কেউ সন্ত্রাসবাদ রপ্তানি করে কিন্তু আমরা এ অঞ্চলে যৌথ সহযোগিতা, আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি এবং সমগ্র এ অঞ্চলের মানুষের কল্যাণে বিরাজমান সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগাবো। আমাদের বার্তা হচ্ছে সব দেশেরই উচিত এ ধরণের সহযোগিতায় অংশ নেয়া।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, প্রতিবেশীসহ এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তাকে ইরান নিজের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বলে মনে করে। তাই ইরান এ ক্ষেত্রে সব দেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।পার্সটুডে