শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা রাহবার আয়াতুল্লাহ আল উজমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী প্রদত্ত পবিত্র ঈদুল ফিত্রের খুতবার পূর্ণ বিবরণ

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ৬, ২০১৬ 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

মহান আল্লাহর হামদ ও মহানবী (সা.) ও তাঁর আহলে বাইতের প্রতি সালাম জানিয়ে মহামান্য রাহবার তাঁর খুতবা শুরু করেন।

পবিত্র ঈদুল ফিত্র উপলক্ষে উপস্থিত প্রিয় মুসল্লিবৃন্দ! আপনাদের সবার খেদমতে এবং সমগ্র ইরানি জাতি ও মহান ইসলামি উম্মাহর প্রতি শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। এই ঈদের মাহাত্ম্য হৃদয়ঙ্গম করার জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে, ঈদের দিনের নামাযসমূহে যেসব কুনুত (নামাযের ভেতরে দোয়া) পড়া হয়, তাতে এই দিনের শপথ করেই আল্লাহ তা‘আলার কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। বিষয়টি নিঃসন্দেহে এই দিনের সবিশেষ গুরুত্বের প্রমাণ বহন করে।
দীর্ঘ এক মাসব্যাপী ইবাদতের পরিসমাপ্তি, একমাস আল্লাহর দিকে নিবিষ্ট থাকা, আল্লাহর যিকিরে রত থাকা, মুমিন বান্দাদের বিনয়, কাকুতি আর আল্লাহর দরবারে আত্মনিবেদন শেষে আজকের দিনটি সত্যিকার অর্থেই ঈদের দিন। এদিন সকলের জন্য উৎসব ও আনন্দের আর পয়গাম্বরে আকরাম (সা.)-এর জন্য সম্মান ও মর্যাদার।
আজকের খুতবায় আমি আপনাদের সামনে যা পেশ করতে চাই তা হচ্ছে, আলহামদু লিল্লাহ! আমাদের ঈমানদার জনগণ খুব ভালো একটি রমযান মাস অতিবাহিত করেছেন। মাহে রমযান, যার মধ্যে আল্লাহর দিকে আত্মনিবেদন, আধ্যাত্মিকতা, ইবাদত-বন্দেগি, আল্লাহর দরবারে বিনয়-কাতরতা, কান্নাকাটির মধ্য দিয়ে আমাদের জনগণ এই মাসটি অতিবাহিত করেছেন। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল হিসেবে আমরা যারা আছি, আমাদেরকে আমাদের ঈমানদার জনগণের অবস্থার জন্য তাঁদের নূরানি অন্তরসমূহের দিকে চেয়ে ইর্ষান্বিত হওয়া উচিত। আমাদের উচিত আল্লাহর দরবারে শোকর আদায় করাÑ এই ঈমানদার জাতির পক্ষ হতে আমাদের ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তার কারণে। বছরের দীর্ঘতম ও সবচেয়ে উত্তপ্ত দিনগুলোতে সারা দেশের জনগণ রোযা পালন করেছেন। রোযামুখে তাঁরা গ্রীষ্মের প্রচ- খরতাপ সহ্য করেছেন। এমনকি আমাদের যুবসমাজ, আমাদের কিশোর ও তরুণরা প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনায় রোযা রেখেছেন। যেসব চক্রান্তকারী আমাদের তরুণদেরকে রোযা না রাখতে প্ররোচিত করতে চেয়েছিল আল্লাহর রহমতে তারা সফলকাম হয় নি। ভবিষ্যতেও তারা সফলকাম হবে না। কিন্তু দেশের দায়িত্বশীলবর্গ এবং সর্বস্তরের জনগণকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে, বিদ্বেষী ও দুষ্ট-দুরাচারীরা কতদূর কী করছে, কী কী চেয়েছে, কী পরিকল্পনা করেছে, তাদেরকে নখদর্পণে রাখতে হবে। এরা দেশের উদীয়মান তরুণ সমাজকে বিপথগামী করার জন্য, দীন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য নানা ধরনের চক্রান্ত এঁটেছে। এরা বসে বসে পরিকল্পনা করে, নীলনকশা আঁকে। তাদের লক্ষ্য আমাদের তরুণরা যেন রোযা না রাখে। আলহামদু লিল্লাহ তারা তাদের চক্রান্তে সফলকাম হয় নি, আমাদের জাতি তাদের মুখে মুষ্টাঘাত হেনেছে। আলহামদু লিল্লাহ।
এই মাস ছিল আল্লাহর মেহমানদারির (যিয়াফতের) মাস। আল্লাহর যিয়াফতে আপ্যায়নের ব্যবস্থা হয় স্বয়ং আল্লাহর তরফ থেকে। আল্লাহর পক্ষ হতে এই মাসে আপ্যায়নের স্বরূপ হচ্ছে, অন্তরসমূহ আলোকিত হওয়া। গুনাহসমূহের মাগফিরাত, বড় বড় নেক কাজের তাওফীক লাভ। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নেক কাজ ছিল বিশাল মিছিল, যা রমযানের শেষ শুক্রবারে কুদ্স দিবসে মরহুম মহান ইমামের উপদেশ অনুযায়ী সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনেক মুসলিম দেশেও এই দিবসের মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দেশের কোনো কোনো শহরে কুদ্স দিবসে তাপমাত্রা এত বেশি ছিল যে, স্বাভাবিক ভাবেই এমন তাপমাত্রার মধ্যে মানুষ রাস্তায় নামে না। কিন্তু এরপরও তাঁরা মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশের সর্বত্র বিশেষ করে যেসব প্রদেশ অত্যন্ত উঞ্চ ছিল, দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশসমূহ, সত্যিকার অর্থেই তাঁরা কষ্ট স্বীকার করেছেন। রোযা রেখে তাঁরা প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিন ইস্যুতে তাঁদের অবস্থান থেকে সেøাগান দিয়েছেন। এর অর্থ হচ্ছে, যদি কোন কোন মুসলিম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনি আশা-আকাক্সক্ষার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেও থাকে, কেউ কেউ যদি নিজেদের দুর্বলতার পরিচয় দিয়ে থাকে, যেমন কোন কোন জাতি তো এ সম্পর্কে কোন খবরই রাখে না; কিন্তু ইরানের জাতি তাঁদের উপস্থিতি ও সেøাগানের মাধ্যমে সকল দুশমনের মোকাবিলায় রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা ফিলিস্তিন ইস্যুকে জীবন্ত করেছেন।
এবছর রমযান মাসে দেশের সর্বত্র ছিল প্রদর্শনী। জনগণ যে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছে, আলহামদু লিল্লাহ কুরআনিক ক্লাসগুলোতে খুবই উত্তম পন্থায় কুরআন তেলাওয়াতের যে রেওয়াজ গড়ে উঠেছে, তা আল্লাহর রহমতে মিডিয়ায়ও ভালো কভারেজ পেয়েছে। কুরআন খতমের যে রেওয়াজ মোবারক জায়গাগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তার প্রতি জনগণের ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এ বছর বহু শহরে এই কুরআনখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনসাধারণের পক্ষ হতে ইফতার মাহফিলের যেসব অনুষ্ঠান হয়েছে বিশেষ করে তেহরানের (কথা বলা যায়)। এখনো অন্যান্য শহরে ইফতার মাহফিলের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। তবে কোন কোন পবিত্র স্থানে, যেমন পবিত্র মাশহাদে গণভিত্তিক ইফতারের ব্যবস্থা হয়েছিল। মসজিদসমূহে, ইমামবাড়া, হোসাইনিয়াসমূূহে এবং পথেঘাটে, মহল্লায়, মসজিদে গণমানুষের পক্ষ হতে ইফতারির দস্তরখান বিছানো হয়েছিল। তাঁরা পথিকদের মাঝে ইফতারি বিলি করেছেন। লোকেরাও বসে সে ইফতারি গ্রহণ করেছেন। এগুলোর ছবি আমাকে দেখানো হয়েছে। সত্যিই আধ্যাত্মিকতার প্রতি জনগণের এমন আগ্রহ ও উদ্দীপনা, মানুষ মানুষের খেদমত করার দৃশ্যাবলি মানুষকে অভিভূত করে। এগুলো হচ্ছে এমন কতক প্রোগাম যেগুলো এ বছর নতুনভাবে চালু হয়েছে। অবশ্য তা বিগত বছরগুলো থেকে চলে আসছিল। এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়েছে। তেহরানে তো সর্বব্যাপী ছিল। অন্যান্য অনেক জেলা শহরেও স্বাভাবিকভাবে তা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশ্য আমার কাছে এর বিস্তারিত রিপোর্র্ট এখন নাই। এগুলো যেসব ইফতার পার্টি অপচয়পূর্ণ ও অভিজাত মহলে হয়, সে ধরনের কিছু নয়। ব্যয়বহুল যেসব ইফতার মাহফিল হয়, তাতে দেখা যায়, ইফতার করার হক যাদের রয়েছে, তাদের জন্য ইফতার মাহফিল হয় না। কোন কোন সময় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে যেসব ইফতার পার্র্টির আয়োজন করা হয় তার পেছনে কোন যুক্তি থাকে না। হোটেলগুলোতে কতক লোক জড়ো করা হয়, তাদের তো এ ধরনের ইফতারের কোনো প্রয়োজন পড়ে না। এদের মোকাবিলায় গণভিত্তিক ইফতার মাহফিলগুলোর কথাই বলছি। একদল লোক নেমে পড়েছিলেন এবং নিজেদের নাম দিয়েছিলেন ‘অলিগলির আশেক’। এটি সত্যিকারের একটি নাম। তাঁরা মানুষের ঘরে ঘরে ইফতার পৌঁছে দিচ্ছিলেন। আমাকে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন রিপোর্ট জানানো হয়েছে। ছবি ভিডিও করে আনা হয়েছে। ঘরে ঘরে ইফতার পৌঁছানোÑ এটি এক বিরাট খেদমত। অত্যন্ত সম্মানিত কাজ তাঁরা করেছেন। এছাড়াও দোয়া ও মোনাজাতের মাহফিল, সারা রাতব্যাপী, শেষ রাত অবধি, মসজিদে ও ইমামবাড়ায়, বিভিন্ন মজলিসে ও মহলে বিশেষ করে রাত জাগরণের রজনীগুলোতে, এমনকি শহীদগণের মাযারে উপস্থিত হয়ে, লোকেরা সেখানে জমায়েত হয়েছেন। সেখানে তাঁরা অন্তরসমূহ আল্লাহর দিকেই নিবেদিত করেছেন। এগুলো সবই আল্লাহর রহমত আকর্ষণের উসিলা হয়েছে। রমযানের শেষ দশকের ইতিকাফও ক্রমান্বয়ে একটি সুন্দর রেওয়াজে পরিণত হচ্ছে এবং তা দিনদিন বিস্তার লাভ করছে। ইনশা আল্লাহ এটিও বরকতপূর্ণ। আমি জানতে পেরেছি যে, বেশকিছু সম্মানিত চিকিৎসক মাহে রমযানের কতিপয় দিন ও রাতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এর অর্থ এটাই হতে পারে যে, এই ত্যাগ ও কুরবানি সর্বস্তরের মানুষের মাঝে অব্যাহত রয়েছে। এ ছিল আমাদের মাহে রমযান, যা আমাদের মাঝ থেকে গত হয়ে গেল। এ ধরনের রমযান মাসের দ্বারাই আল্লাহর রহমত আকর্ষিত হয়। ইনশা আল্লাহ।
আজকেও যে পবিত্র ঈদুল ফিত্র, আজকের দিনটির তাৎপর্য হচ্ছে, মহানবী (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই এই দিন। جَعَلتَهُ لِلمُسلِمینَ عیدا، وَ لِمُحَمَّدٍ صلّی اللهُ علیهِ وَ آلِه ذُخرًا و شَرَفًا و کرامتًا وَ مَزیدا ‘একে তুমি মুসলমানদের জন্য উৎসবে পরিণত করেছ এবং মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরের জন্য সম্মান, মর্যাদা, ইজ্জত ও সমৃদ্ধির উপলক্ষ করেছ।’ এটি হচ্ছে জনসাধারণের পক্ষ হতে মহানবী (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন। মানুষ আর পয়গাম্বর (সা.)-এর সম্পর্ক কী, সে সম্বন্ধে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাকে খুবই ব্যথিত করে। (সূরা তাওবা : ১২৮ আয়তাংশ)
প্রভু হে! মুহাম্মাদ (সা.) ও মুহাম্মাদ (সা.)-এর বংশধরের উসিলায় এই রমযানুল মোবারক ও এই ঈদকে ইরানের জাতি ও বিশ্বমুসলিমের জন্য মোবারক কর। (অতঃপর তিনি সূরা আস্র তেলাওয়াত করে প্রথম খুতবা শেষ করেন।)

 

দ্বিতীয় খুতবা

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

সকল ভাইবোনকে তাকওয়ার জীবন অবলম্বনের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এ খুতবায় ইসলামি জাহানের চলমান কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই। এমন বিষয় যেগুলো ইসলামি উম্মাহর সাথে জড়িত। দুঃখজনকভাবে জনগণের আনন্দ-উৎসবের দিন কোন কোন দেশে শোকের দিনে পরিণত হয়েছে। বাগদাদে কয়েকশ’ পরিবার তাঁদের আপনজনদের হারানোর বেদনায় মূহ্যমান। অপরাধী ও সন্ত্রাসীÑযারা তাদের প্রভুদের নির্দেশে একটি জাল ও বানোয়াট ইসলাম মানুষের মাঝে প্রচলিত করতে চায় তাদের হাতে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন। অনুরূপভাবে ইস্তাম্বুলে, বাংলাদেশে এবং অন্যান্য আরো কয়েকটি দেশে পবিত্র রমযান মাসে রোযা পালনরত অবস্থায় লোকেরা তাদের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এগুলো হচ্ছে বৃহৎ শক্তিবর্গের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাসের পরিচর্যার ফসল। অবশ্য তারা নিজেরাও এর দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হবে। যেমনটি ক্রমান্বয়ে তারা দেখতে পাচ্ছে। অবশ্য এগুলো তাদেরই পাপ ও অপরাধ । এমন অপরাধ যা কখনো ভুলে যাওয়া হবে না।
দুঃখজনকভাবে পবিত্র মাহে রমযানে কোন কোন ইসলামি দেশ সিরিয়া, ইয়েমেনে, লিবিয়া এবং আরো কয়েকটি স্থানে যুদ্ধের আগুন জ্বলছিল। সত্যিই মানুষ ভীষণ চিন্তায় পড়ে যায় যে, কীভাবে ইসলামি বিশ্ব এ ধরনের একটি পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। কেউ কেউ রাজনৈতিক বিবাদকে গৃহযুদ্ধে রূপান্তরিত করেছে। রাজনৈতিক বিরোধ এক বিষয় আর গৃহযুদ্ধ আলাদা বিষয়। বিশ্বশক্তিগুলোর হস্তক্ষেপই সিরিয়ায় ও আরো কয়েকটি স্থানে এ কাজগুলো করছে। ইয়েমেনে আজ এক বছর তিন মাসের বেশিকাল ধরে জনগণ বোমা হামলার শিকার হয়ে আছে। কিন্তু এরপরও ইয়েমেনের জনগণকে আমার সাবাশ দেই যে, কুদ্স দিবসে তাঁরা প্রচ- গরম উপেক্ষা করে বোমা বর্ষণের ভেতরও বিশাল মিছিল বের করেছেন। সাবাশ ইয়েমেনের জনগণ, সাবাশ ইয়েমেনের জনগণের প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব। সিরিয়ায়ও মানুষ বিরাট আপদের সম্মুখীন হয়ে আছেন, যা বৃহৎশক্তিগুলো তাদের ওপর আপতিত করেছে।
দুশমনদের চেষ্টা হলো, ফিলিস্তিন সমস্যার কথা যেন ভুলিয়ে দেয়া যায়। তারা ইসলামি জাহানকে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার গোলকধাঁধায় বেঁধে রাখতে চায়, যাতে তারা ফিলিস্তিন সমস্যার কথা ভুলে যায়। যায়নবাদী আগ্রাসী সরকারের জন্য যেন সুযোগ সৃষ্টি হয়, যাতে তার দুষ্টু দুরাচারী পরিকল্পনা ও লক্ষ্যসমূহ কার্যকর করতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রাম একটি ইসলামি সংগ্রাম। একটি সর্বাত্মক ও সম্মিলিত সংগ্রাম। নিছক একটি আরব সংগ্রাম নয়। এটি দুনিয়ার সর্বত্র মুসলমানদের একটি কমন দায়িত্ব, যেভাবেই সম্ভব হোক এই আন্দোলন, এই সংগ্রাম, এই সেøাগান অব্যাহত রাখতে হবে। এতবড় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে নিছক আরব বিশ্বের সমস্যা হিসেবে খাটো করে দেখা মারাত্মক ভুল।
(অতঃপর মাননীয় রাহবার খুতবার এ অংশে ইরানের অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দান করেন। এরপর সূরা ইখলাস তেলাওয়াতের মাধ্যমে দ্বিতীয় খুতবা শেষ করেন।)