বৃহস্পতিবার, ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইসলামই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে : সাগুফতা ইয়াসমিন

পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১, ২০১৯ 

news-image

জাতীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন বলেছেন, ইসলামই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। নারী অধিকারের সূত্রপাত করেছেন নবী কন্যা হজরত ফাতেমা (রা:)। শুক্রবার বিকেলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যা হযরত ফাতেমা (রা:) এর পবিত্র জন্মদিন ও নারী দিবস উপলক্ষে ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও জাহরা অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও আনন্দ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে ‘হযরত ফতেমা জাহরা (রা:) এর আদর্শ ও বিশ্বের নারীদের কর্তব্য’শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাগুফতা ইয়াসমিন বলেন, হযরত ফাতেমা (রা.) ছিলেন মহানবী (সা.) এরআদরেরদুলালী। তার জন্মগ্রহণের সময়কাল খুব মসৃণ ছিল না। মহানবী (সা.) নিজে তাঁরস্ত্রী ও মেয়ের প্রতিদায়িত্ব পালন ওসম্মান প্রদর্শনেরমাধ্যমে নারী জাতিকে অনন্য অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছেন। হযরত ফাতিমা নিজেও একজন যোগ্য স্ত্রী,একজন যোগ্য মা হিসাবে আমাদের সামনে আদর্শ স্থাপন করেছেন।

তিনি বলেন, নারীরা হল আল্লাহর নিয়ামত। একজন নারী মা হতে পারেন, কিন্তু পুরুষরা কখনো তা পারেনা। হযরত ফাতেমা (রা:) নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর পুত্রসন্তান ছিল না। এজন্য তার অভাব পূরণ করতেন ফাতেমা (রা:)। তিনি ইচ্ছা করলেই আরাম আয়েশের জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে ত্যাগ ও সততার জীবন বেছে নিয়েছিলেন। নিজে না খেয়ে এতিমদের খাওয়াতেন। তিনি একজন আদর্শ স্ত্রীও ছিলেন। আমরা যদি তার আদর্শ অনুসরণ করিতবে জীবনে সফলতা লাভ করতে পারব।নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইরানের ভূমিকার প্রশংসা করে সাগুফতা ইয়াসমিনবলেন, ইরান পর্দা রক্ষা করেও যে নারীদের ক্ষমতায়ন করা যায় তার প্রমাণ দিয়েছে ইরান। এদেশের নারীরা হিজাব পরিধান করে সমাজের সর্বত্র বিচরণ করছেন। দেশটির মোট প্রকৌশলীর প্রায় ৭০ শতাংশই নারী।ইরানের নারীদের সফলতা এক কথায় বিস্ময়কর।

অনুষ্ঠানে ইরান থেকে আগত মেহরী মাশায়েখী বলেন, ইসলাম নারীদের সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। এজন্য নারীদেরকে নারী হিসেবে থেকেই নিজেদের অধিকার চর্চা করতে হবে। যারা নিজেদের অস্তিত্ব অস্বীকার করে পুরুষের সমকক্ষ হওয়ার চেষ্টা করেন তারা না পুরুষ হতে পারেন আর না হতে পারেন আদর্শ নারী। তিনি আরো বলেন, ইসলামের যথাযথ মডেল ছিলেন হযরত ফাতেমা (রা:)। পবিত্র কোরআনে নারী জাতির অনুসরনের জন্য যতগুলো আয়াত নাজিল হয়েছে তার জীবন্ত রূপটি ছিল হযরত ফাতেমার চরিত্রে ও কাজকর্মে। হযরত ফাতেমা (রা:) একদিকে যেমন মহানবী (সা.) এর মা ‘ উম্মে আবিহা’ ‍উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন, তেমনি তিনি আহলে বাইতের ইমামগণের মা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুনীরা সুলতানা বলেন, হযরত ফাতিমার জীবন কেবল মুসলমানের জন্য নয় বরং বিশ্বের সকল নারীর জন্য আদর্শ। গুরুত্বপূর্ণ অনেক হাদিসের উৎস হযরত ফাতিমা।পিতামাতার প্রতি তার দায়িত্ববোধ, ধর্মের প্রতি আনুগত্য ও সন্তান প্রতিপালনসহ নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান তাঁকে নারী জাতির শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।

জাহরা অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন সেলিনা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলরের স্ত্রী সামানেহ মামুরি ।