মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ইরানের সর্বেোচ্চ নেতার দৃষ্টিকোণ থেকে ‘ফিলিস্তিন’

পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ১৮, ২০২৪ 

news-image

সুজন পারভেজ : ফিলিস্তিন নামটা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে দশকের পর দশক ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলা অত্যাচার-নির্যাতন, নিজ ভূখণ্ড থেকে তাদের বিতাড়িত হওয়া, অধিকার বঞ্চিত,নির্বিচারে গণহত্যার শিকার হওয়ার মতো অমানবিক ঘটনাগুলোর চিত্র। যার সূত্রপাত ঘটে বেলফোর ঘোষণা পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইল নামক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। যুগ যুগ ধরে ফিলিস্তিনিরা বসবাস করে আসলেও বিভিন্ন উপায়ে তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। নির্বিচারে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো হচ্ছে সীমাহীন অত্যাচার ও গণহত্যা। অথচ ঐ ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনের রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ১৯১৭সালে বেলফোর ঘোষণা ও ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরাইল নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্ব রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো ফিলিস্তিন ইস্যু। তাই বর্তমানে ফিলিস্তিনকে জানা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। বাংলা ভাষায় ফিলিস্তিনকে জানার এই পথটি সহজ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবদুস সবুর খান কর্তৃক মূল ফারসি থেকে বাংলা ভাষায় ‘ফিলিস্তিন’ নামক গ্রন্থটি অনুবাদের মাধ্যমে। গ্রন্থটি মূলত ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ আল-উযমা সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী (মুদ্দা.) এর দৃষ্টিকোণ থেকে ফিলিস্তিন। যেটি গ্রন্থনা করেন সাঈদ সোলহ মীর্জায়ী। ভূমিকা ও পরিশিষ্ট ছাড়াও বইটি ১০ টি ভাগে বিভক্ত। গ্রন্থটি ফিলিস্তিন ইস্যুর গুরুত্ব থেকে শুরু করে ইসরাইল, পাশ্চাত্য, আমেরিকা, ফিলিস্তিন, ইসরাইল এবং আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ,দখলের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, ফিলিস্তিনের অধিকার আদায়ে কয়েকজন প্রধান বীরপুরুষ ইত্যাদি ছাড়াও ফিলিস্তিন ইস্যুতে ফিলিস্তিনের জনগণ, ইসলামি উম্মাহ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও অন্যদের কী দায়িত্ব সেসব বিষয়ের সমাবেশ ঘটেছে। এতে ইসলামি ইরান ও ফিলিস্তিন ইস্যু, আল-কুদস দিবস, ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের সঠিক পথ সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে। সবশেষে রয়েছে ফিলিস্তিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা। গ্রন্থটি অধ্যয়নের মাধ্যমে পাঠকগণ ফিলিস্তিন বিষয়ে আরও নানাবিধ অজানা তথ্য ও ইতিহাস সম্বন্ধে জেনে নিজেকে ঋদ্ধ করতে পারবেন।
গ্রন্থটি ঢাকাস্থ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে সূচীপত্র প্রকাশনী থেকে ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়েছে।

সুজন পারভেজ
শিক্ষার্থী,ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।