ইরানের নয়নাভিরাম কেশম দ্বীপ
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ৩, ২০২৫

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুযগান প্রদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ হলো কেশম দ্বীপ। নীলাভ সাগরের কোলে জেগে ওঠা দ্বীপটি কেবল হরমুযগান প্রদেশেরই নয়, বরং পারস্য উপসাগরীয় দ্বীপগুলোর অন্যতম বিশাল দ্বীপ। হরমুয প্রণালির উৎসমুখে এই দ্বীপটির অবস্থান।
কেশম দ্বীপের আয়তন দেড় হাজার বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি। এই দ্বীপের বিস্তীর্ণ উপকূল প্রায় দুশ’ দুই কিলোমিটার দীর্ঘ। দ্বীপটির আয়তন সিঙ্গাপুর বা বাহরাইনের তুলনায় আড়াই গুণ বড়। দৈর্ঘ্যে ১২০ কিলোমিটার আর প্রস্থে স্থান বিশেষে ১০ থেকে পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার।
বিচিত্র উদ্ভিদ আর গাছ-গাছালিতে পূর্ণ এই কেশম দ্বীপ। হারা নামে একটি বন আছে এই দ্বীপে। এতে রয়েছে বিরল প্রজাতির বহু উদ্ভিদ। রয়েছে ইবসিনিয়া ম্যারিন নামের বিশেষ এক ধরনের উদ্ভিদ। ইরানের প্রসিদ্ধ দার্শনিক ও মনীষী আবু আলী সিনার নামানুসারে ওই উদ্ভিদটির নাম রাখা হয়েছে। কেশম দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জায়গাজুড়ে এই হারা বনাঞ্চলটি অবস্থিত। অপূর্ব সৌন্দর্য আর অনন্যসাধারণ পরিবেশের সৃষ্টি করেছে এই বনটি। বনটির দিকে শুধু এক নজরে তাকিয়ে থাকতেই মন চায়। বিচিত্র উদ্ভিদ আর নানা বৃক্ষরাজি সমৃদ্ধ এই বনটি আন্তর্জাতিকভাবে সংরক্ষিত এলাকার মর্যাদা পেয়েছে।