ইরানের প্রাচীনতম শহর কাশান
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ১৭, ২০২১
ইরানের ইসফাহান প্রদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ শহর কাশান। ইস্ফাহান শহর থেকে দুই শ কিলোমিটার দূরত্বে এর অবস্থান। ইরানের কেন্দ্রিয় মরুভূমি এবং কারাকাস পর্বতের মাঝখানে পড়েছে কাশান শহরটি। মানবেতিহাসের একটি প্রাচীনতম বসতি গড়ে উঠেছিল এখানকার ‘সিয়ালক’ টিলায়। নতুন নতুন যেসব নিদর্শন এখানে পাওয়া গেছে সেগুলো গবেষণা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই শহরটি ৭ থেকে ১১ হাজার বছরের পুরোনো।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, কাশানের অচলাবস্থার যুগ ছিল ইয়েলখানদের যুগ অর্থাৎ খ্রিষ্টিয় ত্রয়োদশ শতাব্দী। এ সময় চেঙ্গিজ খানের ভয়াবহ হামলার শিকার হয়েছিল ইরান। ঐ হামলায় কাশান শহরটিরও বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে সাফাভি আমলে অর্থাৎ খ্রিষ্টিয় পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ এবং সপ্তদশ শতাব্দীর শুরুতে কাশান শহরটি পুণরায় বেশ উন্নত হয়ে ওঠে। এ সময় কাশান খ্যাতির শিখরে পৌঁছে । এ সময় যেসব পর্যটক ইরান সফরে এসেছিলেন , তাঁদের প্রায় সকলেই কাশানের সৌন্দর্য ও উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে এই শহরটিকে ইস্ফাহানের পর দ্বিতীয় সৌন্দর্যতম ও সমৃদ্ধ শহর হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বিশেষ করে এখানকার শিল্প-কল-কারখানা আর সাফাভি আমলের বুনন ও কারুশিল্পের ঐতিহ্যের কথা সকলেই স্মরণ করেছেন। এখানকার প্রাচীন স্থাপনাগুলোও আপনাকে নিয়ে যাবে হাজার হাজার বছর পেছনে।
কাশানের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে আগা বুযুর্গ মসজিদ (১৮ শতকে নির্মিত, ওস্তাদ আলী মারিয়াম এর ডিজাইন করেন), আমেরী হাউজ (১৯ শতক), জালালী কটেজ, বোরুযারদী হাউজ (১৮ শতকে নির্মিত), আব্বাসী হাউজ (১৮ শতক), তাবাতাবায়ী হাউজ, আত্তারী হাউজ, সুলতান আমীরের মাযার, ৪০ দুখতারান দুর্গ, আবু লুলুয়ার মাযার (১১ শতক), ফিন গার্ডেন, ফিন গোসলখানা, কাশান জামে মসজিদ, কাশান বাজার, মসজিদ ময়দান, তাবরিজিয়া মসজিদ প্রভৃতি। সূত্র: আইআরআইবি, নিউজ লেটার।