ইরানের অসাধারণ নকশার শেখ লুতফুল্লাহ মসজিদ
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ৬, ২০২১
ইরানের ঐতিহাসিক ও নান্দনিক মসজিদগুলোর অন্যতম শেখ লুতফুল্লাহ জামে মসজিদ। ইসফাহানে খ্রিস্টীয় ১৭ শতকে নির্মিত মসজিদটির ক্রিম গম্বুজের অংশগুলো পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে। পুরাতত্ত্ব গবেষকদের কাছে বেশ আদরণীয় ও মর্যাদার অধিকারী মসজিদটির এই পুনরুদ্ধার কার্যক্রম তদারকি করছেন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল। ইসফাহানে ইরানি স্থাপত্যদের তৈরি একটি মাস্টারপিস হিসেবে বিবেচিত হয় স্থাপনাটি। এসব তথ্য জানান প্রাদেশিক পর্যটন উপপ্রধান নাসের তাহেরি।
সাফাভিদ আমলের টাইলসের কারুকাজ আর স্থাপত্যরীতির অনন্য উদাহরণ শেখ লুতফুল্লাহ মসজিদ কয়েক দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী। প্রথমত, এর গম্বুজ থাকলেও কোনো মিনার নেই। এই মসজিদের কোনো আঙিনাও নেই। আরও মজার ব্যাপার হলো, মসজিদটি যেহেতু নাকশে জাহানের পূর্বদিকে অবস্থিত, সেহেতু মসজিদের প্রবেশদ্বার পূর্বদিকে হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু তাই হয়েছে। তবে মেধাবী নির্মাণ শিল্পীরা কেবলা সমস্যার সমাধান করার জন্য প্রবেশপথটাকে সামান্য পেঁচিয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে বিন্যস্ত করেছেন। এটা দেখার বিষয়। বর্ণনা দিয়ে বোঝানো কঠিন।
মসজিদটিতে যেসব নকশা বা ডিজাইন করা হয়েছে তা এককথায় বিস্ময়কর। বিশেষ করে মসজিদের গম্বুজটিতে যে অসাধারণ নকশা করা হয়েছে তা ইরানের শ্রেষ্ঠ ডিজাইনগুলোর একটি। এই গম্বুজে রঙের ব্যবহার, ডিজাইন এবং টাইলসের কারুকাজ খুবই নিপুণ। তার মধ্যে ইরানের শ্রেষ্ঠ ক্যালিগ্রাফার আলী রেযা আব্বাসীর চারুলিপিকর্ম দেখলে চোখের পলক ফেলা দায়। সূত্র: তেহরান টাইমস।