ইরানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ১৭, ২০১৭
ইরানের `২০১৭ নুর স্টুডেন্ট কমপিটিশন’ শীর্ষক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিযোগিতায় পাঁচ সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় বৈজ্ঞানিক কর্ম ও ভিডিও চিত্র জমাদানের সময়সীমা শেষ হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী এসব ছাত্রছাত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নিজেদের তৈরি প্রায় ২ হাজার শর্টফিল্ম আয়োজক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।
এমএসটিএফ মিডিয়ার তথ্যমতে, নুর স্টুডেন্ট কমপিটিশন গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের শক্তিমত্তা ও মেধা যাচাই এবং তাদের অনুপ্রাণিত করতে এবং ছাত্রদের মাঝে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি দেশটির শিক্ষা কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বৈজ্ঞানিক প্রতিযোগিতা প্রসারের লক্ষ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় গ্রুপ-ভিত্তিক অংশ নিতে পারে। এজন্য প্রতিযোগীদের পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, গণিত এবং জ্যোতির্বিদ্যাসহ বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রের ওপর নির্মিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার ৬০ সেকেন্ডের ভিডিও চিত্র পাঠাতে হয়েছে।
আগের বছরের তুলনায় এবারের দ্বিতীয় রাউন্ডের নুর স্টুডেন্ট কমপিটিশনের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট রয়েছে। এতে এবার আঞ্চলিক দেশগুলি, বিশেষত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের বিভিন্ন স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা এবারের আসরে তাদের আবিষ্কৃত কর্ম ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা পাঠানোর জন্য সাত মাস সময় পেয়েছে। এটির আয়োজন করেছে মুস্তফা সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন (এমএসটিএফ)। গত ২১ জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে ভিডিও চিত্র পাঠানোর সময় ছিল। এ সময়ে ৫ হাজার ১১০ জন ছাত্রছাত্রী ২ হাজার ১৯৪টি গ্রুপে নিবন্ধিত হয়ে ১ হাজার ১৯৩টি ভিডিও চিত্র পাঠিয়েছে।
সৃজনশীলতা ও আকর্ষণীয়তাকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হিসেবে নিয়ে জমা পড়া এসব বৈজ্ঞানিক ভিডিও চিত্র থেকে প্রসংশিত শীর্ষ ১শ টি বৈজ্ঞানিক কর্ম বাছাই করা হবে এবং সেগুলি সাপ্তাহিক টিভি অনুষ্ঠানে প্রচার করা হবে। পুরস্কার হিসেবে নির্বাচিত স্কুল ও গবেষণা কেন্দ্রগুলিতে ল্যাব ও বৈজ্ঞানিক সরঞ্জমাদিও দেয়া হবে।
আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
সূত্র: মেহের নিউজ।