ইরান সফরে কুয়েতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী: সম্পর্ক চায় আরব রাষ্ট্রগুলো
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান সফর করে গেলেন কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালিদ আল-হামাদ আস-সাবাহ। একদিনের সফরে বুধবার তিনি তেহরান পৌঁছান এবং কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল-আহমাদ আল-জাবের আস-সাবাহ’র পক্ষ থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানির কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দেন।
কুয়েতি আমিরের পক্ষ থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক করতে আগ্রহী।
কুয়েতি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শক্তি-সামর্থ্য সবসময় প্রতিবেশী ও আঞ্চলিক দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নেয়া যেকোনো পদক্ষেপকে ইরান সমর্থন করবে। আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র সংলাপ, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার মাধ্যমেই কেবল মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। এ অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়ন ও উন্নতি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিঃসন্দেহে সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে বলেও মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট রুহানি। বৈঠকে তিনি ইরান ও কুয়েতের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পর্কসহ নানা ক্ষেত্রে বন্ধন জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকে কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশের আমিরের পক্ষ থেকে বার্তা পৌঁছে দেন প্রেসিডেন্ট রুহানির কাছে। তিনি বলেন, ইরানের প্রতি কুয়েতের সরকার ও জনগণের গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে ইরানের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ সম্পর্ক আরো বাড়ানোর জন্য দুপক্ষের উচিত অভিন্ন সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানো।
তিনি তাকফিরি সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থাকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে আঞ্চলিক দেশগুলোতে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানির সঙ্গে বৈঠকের আগে কুয়েতের মন্ত্রী ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তারা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্র: পার্সটুডে