পতঙ্গ আকৃতির ড্রোন তৈরিতে আমেরিকা ব্যয় করছে বিপুল অর্থ
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ৩০, ২০১৩
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2013/01/a-drone-in-insect-shape.jpg)
আমেরিকা অতি ক্ষুদ্র ড্রোন তৈরির গবেষণায় ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করেছে। এসব ড্রোন আকারে মশা-মাছির চেয়ে বড় না হলেও এতে বসানো থাকবে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। এ ছাড়া, প্রয়োজনে এসব মশা-মাছি আকৃতির ড্রোন দিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা থেকে শুরু করে শক্রকে বিষ পর্যন্ত প্রয়োগ করা যাবে।
ইন্টারনেটে প্রকাশিত বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে জানা গেছে, এ ধরনের ড্রোন তৈরির গবেষণা করছে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল। এ দলকে সহযোগিতা করছে ভার্জিনিয়ার আলিংটনে অবস্থিত রাইট-প্যাটারসন বিমান ঘাঁটির ‘ইউএস অফিস অব দ্যা সায়েনটেফিক রিসার্চ’। এ গবেষকরা ‘মাইক্রো অ্যারিয়েল ভেহিকেল’ বা এমএভি নামের কীট পতঙ্গ আকারের ড্রোন তৈরির কাজ করছে। এ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করে অনায়াসে নানা গোয়েন্দা অভিযান চালানো যাবে।
এসব কৃত্রিম পতঙ্গের দল বা ড্রোন অনায়াসে যে কোন শহর বা নগরে ঢুকে পড়তে পারবে। শহর বা নগরে দালান-কোঠা ও মানুষের ভিড় রয়েছে। সেইসঙ্গে বাতাসের গতিও কখন কি রকম হবে তা আগে ভাগে সব সময় অনুমান করা যায় না। ফলে প্রচলিত ড্রোন দিয়ে এসব এলাকায় গোয়েন্দা ততপরতা চালিয়ে সব সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না।
কিন্তু চলতি গবেষণার ক্ষেত্রে এ রকম কীট-পতঙ্গ আকারের ড্রোন দিয়ে অনেক কাজ করা যাবে। বলা যায়, বিজ্ঞান-কল্পতে যেসব কথা বলা হয় তার অনেকাংশ সফল হবে এসব ড্রোনের মাধ্যমে। এসব ড্রোন দূর নিয়ন্ত্রিত হবে। মশা বা মাছির মতো অনায়াসে এসব ড্রোন সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহে এসে বসতে পারবে। তারপর অতিসূক্ষ্ম সুঁই ফুটিয়ে ব্যক্তিটির দেহ থেকে ডিএনএ নমূনা সংগ্রহ করে দ্রুত বেগে উড়ে সরে পড়বে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি এক্ষেত্রে মশার কামড়ের চেয়ে বেশি ব্যথা পাবে না। তবে মশায় কামড়ালে যে রকম জ্বালা হয় তা অবশ্য হবে না। কিন্তু জায়গাটা ফুলে উঠবে।
এসব ড্রোন কেবল ডিএনএ নমুনাই সংগ্রহ করবেনা সেইসঙ্গে সন্দেহভাজন ব্যক্তির দেহে অতিক্ষুদ্র আকারের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেনটিফিকেশন বা আরএফআইডি বসিয়ে দিয়ে আসবে। ফলে দূর থেকে সন্দেহভাজন ব্যক্তির চলাফেরার ওপর নজর রাখা যাবে। কিংবা এ ড্রোন দিয়ে বিষও প্রয়োগ করা যাবে শত্রুপক্ষের লোকজনকে।
অবশ্য শুধু আমেরিকাই নয় সেইসঙ্গে ইসরাইল,ফ্রান্স ও নেদারল্যাণ্ড একই ধরনের ড্রোন তৈরি করছে। এ কাজে অনেক এগিয়ে গেছে ইসরাইল। প্রজাপতি আকারের ড্রোন তৈরি করেছে অবৈধ এ দেশটি। এক বিশেষ ধরনের হেলমেট পরে এ ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এ হেলমেট মাথায় দিলে প্রজাপতি-ড্রোন যা দেখবে তার সবই দেখতে পাবেন হেলমেটধারী ব্যক্তি।
সংগ্রহ: রেডিও তেহরান