২০ সেকেন্ডেই কৌটাজাত খাবারের বিষ শনাক্ত করবে ন্যানোসেন্সর
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ২১, ২০১৭
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2017/08/2548884.jpg)
অনেক কৌটা ও প্যাকেটজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর পদার্থ। শুধু তাই নয়, যে সব খাবারে জিরো ফ্যাট বা জিরো ক্যালরি বলে উল্লেখ করা হয় এসবের অনেকটির কোনো ধরনের ভিত্তি নেই। ইরানি ও আমেরিকান গবেষকদের একটি যৌথ টিম একটি জৈবিক ন্যানোসেন্সর তৈরি করেছেন, যা মাত্র ২০ সেকেন্ডের মধ্যেই এসব কৌটাজাত খাবারে থাকা বিষাক্ত পদার্থ শনাক্ত করতে পারবে।
ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, ইরানের শাহান্দ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক শনাক্তকরণ পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন। এ কাজে তাদের ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি বিশ্ববিদ্যালযয়ের একদল গবেষক। তারা যৌথভাবে ন্যানোসেন্সরটির নকশা ও উৎপাদন করেছেন।
ইরান ন্যানোটেকনোলজি ইনিশিয়াটিভ কাউন্সিলের (আইএনআইসি) তথ্যমতে, পরীক্ষাগার-প্রদত্ত মাত্রায় এই ন্যানোসেন্সর উৎপাদনে খরচ পড়বে মাত্র এক মার্কিন ডলার এবং ইলেক্ট্রিক্যাল সার্কিট সহ এটি উৎপাদন করতে মোট প্রায় ১৬ ডলার করে খরচ পড়বে।
গবেষণায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, দীর্ঘ মেয়াদে কৌটাজাত খাবার ব্যবহার করার ফলে অনেক বড় ধরনের অসুস্থতা দেখা দেয়। কৌটাজাত খাবার উৎপাদনে সাধারণত ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা হয় এবং তা থেকেই এসব অসুস্থতার উদ্ভব ঘটে।
প্রকল্পের গবেষক ড. হাদি মির্জাজানি জানান, কৌটাজাত খাবার উৎপাদনে সাধারণত যেসব পদার্থ সর্বাধিক ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে বিসফেনল এ’ অন্যতম। আর খাবারে ক্ষতিকর এই পদার্থটি আছে কি না তা শনাক্ত করবে ন্যানোসেন্সর।
তিনি বলেন, ‘কৌটাজাত খাবার ও প্লাস্টিক কন্টেইনারজাত কোমল পানীয়তে বিপজ্জনক বিসফেনল এ পদার্থের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে এই গবেষণাটি চালানো হয়। আগে ক্ষতিকর এই পদার্থ শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যয়বহুল ছিল। কিন্তু আমাদের গবেষণায় ক্ষতিকর পদার্থটি শনাক্তকরণ ন্যানোসেন্সর স্বল্প খরচে তৈরি করার চেষ্টা করেছি।’
গবেষণাটি পরিচালনা করেন ড. হাদি মির্জাজানি ও ড. ইসমাইল নজফি আঘদাম এবং ড. হাবিব বাদরি গাভি ফেকর। তাদের সঙ্গে টেনেসি বিশ্ববিদ্যালযয়ের একদল গবেষক এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছেন। ড. হাদি তাবরিজের শাহান্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। সূত্র: মেহের নিউজ।