হজের দায়িত্ব সৌদি আরবেরই থাকছে
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ১৩, ২০১৫
বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশের মধ্যে হজের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়ার ধারনা প্রত্যাখান করে সৌদি যুবরাজ তুর্কি আল ফয়সাল বলেছেন, হজের উপর সৌদি আরবের অধিকার এবং এরসঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব জড়িয়ে আছে। তাই সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত বাৎসরিক হজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সৌদি আরবের হাতেই থাকছে বলে জানান তিনি। রোববার বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে যুবরাজ তুর্কি আল ফয়সাল এসব কথা বলেন।
গত মাসে মক্কায় পলিত হয়ে বহু হাজির মৃত্যু হয়। সৌদি সরকারের হিসেব মতে, মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়ায়নি। কিন্তু অ্যাসোসিয়েট প্রেসের মতে, মৃতের সংখ্যা ১৪০০’র বেশি। তাই এই বার্তা সংস্থাটির সঙ্গেই একমাত্র এবিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হন সৌদি রাজপরিবারের নেতৃস্থানীয় যুবরাজ তুর্কি আল ফয়সাল।
মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরব দেশটি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই সাউদ পরিবার দেশটিকে শাসন করছে। আর এই কারণে গোড়া থেকেই হজ এবং ইসলামের পবিত্র স্থান মক্কা এবং মদিনার দেখভালের দায়িত্বও এই পরিবারটি ক্ষমতাবলে নিয়ে নেয়। পূর্বসূরীদের মতো সৌদি আরবের বর্তমান বাদশাও ‘কাস্টোডিয়ান অব দ্য টু হলি মস্কস’ বা ‘পবিত্র দুই মসজিদের অভিভাবক’ পদবী ধারণ করে আছেন। তবে গত মাসের ঘটনা পরবর্তীতে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হজের রক্ষনাবেক্ষনে অনিয়ম এবং দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। আর তখনই প্রশ্ন আসে, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে কেন হজের দায়িত্ব বণ্টন করে দেয়া হবে না।
এমন অবস্থায় যুবরাজ তুর্কি আল ফয়সাল বলেন, ‘চলতি বছর ধরে হজযাত্রীদের ভ্রমন সংক্রান্ত নানান বিষয় নিয়ে আমরা বাজে সময় অতিবাহিত করছি। আগের দিনেও রোগ এবং মানুষের ভিড় সামলাতে হয়েছে আমাদের। এই দুই মসজিদে আগত হজযাত্রীদের সেবা করার অধিকার আমরা ছাড়তে পারি না। মক্কার দায়িত্ব তারাই নিতে পারে কেবল, যারা এই অঞ্চলটি পুরোপুরি চেনে এবং জানে। আপনি চাইলেই মক্কার মানুষদের কাছ থেকে সে অধিকার কেড়ে নিতে পারেন না।’
সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস