স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: নভেম্বর ৮, ২০১৬
মহানবী (সা.) বলেন : জ্ঞানীদের কাছে প্রশ্ন কর আর হাকিমদের (প্রজ্ঞাবানদের) সাথে সংলাপ কর আর দরিদ্রদের সাথে ওঠাবসা কর।
মহানবী (সা.) বলেন : তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি আমার থেকে সবচেয়ে দূরে যে কৃপণ, কুভাষী ও গালমন্দকারী।
মহানবী (সা.) বলেন : তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে সদাচারীরাই হলো সর্বোত্তম যারা (অপরের সাথে সহজেই) সম্পর্ক গড়ে এবং (তাদের) সম্প্রীতির আহ্বানকে গ্রহণ করে।
মহানবী (সা.) বলেন : লজ্জা দু’টি : বুদ্ধিমত্তার লজ্জা আর বোকামিপ্রসূত লজ্জা। বুদ্ধিমত্তার লজ্জা জ্ঞানের পরিচয় বহন করে আর বোকামিপ্রসূত লজ্জা মূর্খতার পরিচায়ক।
ইমাম আলী (আ.) তাঁর পুত্র ইমাম হোসাইন (আ.)-কে বলেন : …প্রিয় পুত্র আমার! যে ব্যক্তি স্বীয় ত্রুটি দেখে সে অন্যের ত্রুটি থেকে বিরত থাকে। আর যে ব্যক্তি খোদাভীতির পরিচ্ছদ না পরে, কোনো পোশাকই তাকে ঢাকতে পারে না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্র বরাদ্দে সন্তুষ্ট থাকে, সে কোনো কিছু হারালে দুঃখ পায় না।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : তোমাদের দিনকে এরূপ-সেরূপ আর ‘এই করেছি, সেই করেছি’ বলে পার কর না। কারণ, তোমাদের সাথে প্রহরীরা রয়েছেন যাঁরা তা লিপিবদ্ধ করছেন। মহান আল্লাহ্কে সর্বক্ষণ ও সর্বস্থানে স্মরণ করবে। রাসূল (সা.) ও তাঁর পরিবারবর্গের ওপর দরুদ প্রেরণ কর। কেননা, আল্লাহ্ তোমাদের দোয়াকে তাঁর নবীর স্মরণের মধ্যে এবং তাঁকে মেনে চলার মধ্যে গ্রহণ করেন।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : গরম খাবার রেখে দাও যাতে ঠাণ্ডা এবং খাওয়ার উপযোগী হয়। কারণ, রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে গরম খাবার পরিবেশন করা হলে তিনি বলেন : ‘ওটাকে রেখে দাও, ঠাণ্ডা হোক, যাতে খাওয়া যায়।’ আল্লাহ্ গরমকে আমাদের ভক্ষণ না করান। আর কল্যাণ রয়েছে ঠাণ্ডার মধ্যে। গরমের কোনো কল্যাণ নেই।
ইমাম হাসান (আ.) বলেন : যেসব লোক পরস্পর পরামর্শ করে চলে তারা সঠিক পথে পরিচালিত হয়।
ইমাম হাসান (আ.) বলেন : যে কল্যাণে কোনো অকল্যাণ নেই তা হলো নেয়ামতের সময় কৃতজ্ঞতা আর বিপদে ধৈর্যধারণ।
ইমাম বাকের (আ.) বলেন : সর্বোচ্চ পূর্ণতা হলো দীনের উপলব্ধি, অনাকাক্সিক্ষত অবস্থায় ধৈর্যধারণ এবং পরিমিত জীবিকায় জীবনধারণ করা।
ইমাম বাকের (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস রয়েছে যা দুনিয়া ও পরকালে সম্মান বয়ে আনে : তোমার প্রতি যে যুলুম করেছে তাকে ক্ষমা করা, তোমার সাথে যে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা আর তোমার প্রতি যখন মূর্খতা প্রদর্শন করা হয় তখন সহিষ্ণু হওয়া।
ইমাম মূসা কাযেম (আ.) বলেন : মুমিন হলো দাড়িপাল্লার দুই পাল্লার মতো। যতই তার ঈমান বৃদ্ধি পায় তার বিপদও বৃদ্ধি পায়।
ইমাম রেযা (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি তার ভরণপোষণাধীনদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য রুজি অন্বেষণ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে জিহাদকারীর চেয়েও বড়।