বুধবার, ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

স্মরণীয় বাণী

পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ৪, ২০১৬ 

মহানবী (সা.) বলেন : আল্লাহ্ তাকে ভালোবাসেন যে তাঁর পথে উদারভাবে দান করে।

মহানবী (সা.) বলেন : দু’টি ব্যাপারে অসংখ্য মানুষ ধোঁকা খেয়ে থাকেÑ সুস্থতা আর অবসর। (অর্থাৎ এগুলোর সদ্ব্যবহার করে না।)

মহানবী (সা.) বলেন : ইবাদতের সাতটি অঙ্গ। তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো হালাল রুজি অর্জন করা।

মহানবী (সা.) বলেন : যে ব্যক্তি ইচ্ছামতো খায়, ইচ্ছামতো পরিধান করে আর ইচ্ছামতো বাহনে আরোহণ করে, আল্লাহ্ তার ওপর অনুগ্রহের দৃষ্টি ফেলেন না যতক্ষণ না সে তা হারায় কিংবা বর্জন করে (এবং তওবা করে)।

মহানবী (সা.) বলেন : আল্লাহ্ দু’টি স্বরকে ঘৃণা করেন : বিপদের সময় চিৎকার করে কান্নাকাটি করা আর নেয়ামত লাভ ও খুশির সময় বাঁশি বাজানো (গান-বাজনা করা)।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : মুমিনের জন্য তিনটি সময় থাকে। একটি সময়ে সে স্বীয় প্রতিপালকের সাথে মনের কথা বলে, আরেকটি সময়ে সে আত্মবিশ্লেষণ করে আর অন্য সময়টিতে সে হালাল এবং উত্তম আনন্দে মাতে। বুদ্ধিমানের তিনটি কাজে উদ্যমী হওয়া সাজে : জীবিকা অর্জন, পরকালের জন্য পদক্ষেপ আর হালাল জিনিস ভোগ করা।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : দয়াবান দয়া প্রদর্শনে নমনীয় হয় আর হীন লোক দয়া প্রদর্শনে কঠিন হয়।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : তোমার বন্ধুর শত্রুর সাথে বন্ধুত্ব কর না, এতে তোমার বন্ধুর প্রতি শত্রুতা করা হবে।

ইমাম আলী (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি দুনিয়ায় তার যতটুকুতে চলে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তার জন্য ঐ জিনিসের সামান্যতম যা থাকে তা-ই যথেষ্ট হয়। আর যে ব্যক্তি তার যতটুকুতে চলে তাতে সন্তুষ্ট থাকে না তার জন্য দুনিয়ায় এমন কিছু নেই যে, যথেষ্ট হবে।

ইমাম হাসান (আ.) বলেন : ঘনিষ্ঠ সেই ব্যক্তি, বন্ধুত্ব যাকে নিকটবর্তী করেছে, যদিও তার বংশীয় সম্পর্ক দূরের হয়। আর অচেনা সেই ব্যক্তি, যে বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাকে, যতই তার বংশীয় সম্পর্ক নিকটের হোক না কেন।
রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এক ব্যক্তিকে ইমাম হাসান (আ.) বললেন : আল্লাহ্্ তোমাকে স্মরণ করেছেন, তাই তুমিও তাঁকে স্মরণ কর। আর তোমাকে মাফ করেছেন, তাই তুমিও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাও।
জনৈক ব্যক্তি ইমাম হোসাইন (আ.)-এর কাছে আল্লাহ্্র এ বাণীটির অর্থ জানতে চাইল : ‘আর তোমার প্রতিপালকের নেয়ামত নিয়ে কথা বল।’ ইমাম তাকে বললেন : আল্লাহ্্ তাঁকে দীনের যে নেয়ামত দান করেছেন সে বিষয়ে বর্ণনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইমাম আলী ইবনুল হোসাইন যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেন : আর তোমার চোখের অধিকার হলো যা কিছু তোমার জন্য সঙ্গত নয় তা থেকে অবনমিত রাখা এবং এর অশ্লীলতা পরিহার করা, (একে ব্যববহার কর না) কেবল শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্র ছাড়া যা দ্বারা তুমি দৃষ্টিবান হতে পার কিংবা কোনো জ্ঞান অর্জন কর। কারণ, চোখ হলো শিক্ষাগ্রহণের উপকরণ।

ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি নিজেকে মর্যাদাবান গণ্য করবে সে দুনিয়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে।

ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেন : মিথ্যা ছোট হোক আর বড় হোক তা পরিহার করবে, রসিকতার ছলে হোক আর সত্যিকারেই হোক। কারণ, যে ছোট মিথ্যা বলে সে বড় মিথ্যা বলায় সাহসী হয়ে ওঠে।

ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেন : কতই না প্রতারিত ও ঠকে যাওয়া লোক রয়েছে যারা হেসে খেলে পার করছে, খাচ্ছে, পান করছে, অথচ খবর রাখে না যে, হয়তোবা আল্লাহ্্র পক্ষ থেকে তার ওপর ক্রোধ নেমে আসবে যা তাকে দোযখের আগুনে নিপতিত করবে।

ইমাম বাকের (আ.) বলেন : তিনটি জিনিস রয়েছে যা দুনিয়া ও পরকালে সম্মান বয়ে আনে : তোমার প্রতি যে যুলুম করেছে তাকে ক্ষমা করা, তোমার সাথে যে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা আর তোমার প্রতি যখন মূর্খতা প্রদর্শন করা হয় তখন সহিষ্ণু হওয়া।

ইমাম বাকের (আ.) বলেন : ন্যায়ের পক্ষে উত্থান কর এবং যাতে তোমার কোনো উপকার নেই তা থেকে দূরে থাক। আর তোমার শত্রু থেকে দূরে থাক এবং তোমার বন্ধু যে সম্প্রদায় থেকেই হোক, তার থেকে সতর্ক থাক শুধু এমন বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছাড়া যে আল্লাহ্্র ভয় করে। ব্যভিচারীর সাথে ওঠাবসা করবে না এবং তাকে তোমার গোপন কথা অবগত করবে না। আর তাদের সাথেই পরামর্শ করবে যারা আল্লাহ্্র ভয় করে।

(তুহাফুল উকূল থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : আব্দুল কুদ্দুস বাদশা