স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: জুন ১, ২০২০
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন: ‘আসমানের রহমতের দরজাসমূহ চার সময় খোলা হয় : বৃষ্টি বর্ষণের সময়, সন্তান কর্তৃক পিতামাতার চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাতের সময়, কা‘বার দরজা খোলার সময় এবং বিবাহ সম্পাদনের সময়।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমুআর দিনে তার পিতামাতার কবর যিয়ারত করবে তাকে ক্ষমা করা হবে এবং তাকে নেককারদের মধ্যে গণ্য করা হবে।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘আমি কি তোমাদেরকে আচরণের বিচারে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তি কা’রা বলে দেব? (সাহাবিগণ) বললেন : ‘জ্বী।’ তিনি এরশাদ করলেন : ‘যে ব্যক্তি তার সাথে সম্পর্ক ছিন্নকারীর সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘যে কেউ তার মৃত্যু পিছিয়ে যাওয়া ও রুযী বৃদ্ধি পাওয়া পছন্দ করে, সে যেন আল্লাহ্কে ভয় করে চলে এবং আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেয়।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘যে কোনো উত্তম কাজই সাদাকাহ্ হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে এবং মু‘মিন ব্যক্তি তার নিজের পরিবারের ও স্ত্রীর জন্য যা কিছু ব্যয় করে এবং যা দ্বারা সে তার ইজ্জত-আব্রুর হেফাযত করে তার সবই সাদাকাহ্ হিসেবে লিখিত হয়।’
আমীরুল্ মু‘মিনীন্ হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘যে জাতি পানি ও কৃষিযোগ্য ভূমির অধিকারী, কিন্তু (কম পরিশ্রম বা অপকর্মের কারণে) অন্যদের মুখাপেক্ষী হয় তারা আল্লাহ্র রহমত থেকে দূরে রয়েছে।’
আমীরুল্ মু‘মিনীন্ হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘কারো জ্বর হলে তার ওপর ঠা-া পানি ছিটিয়ে দাও, তাহলে তার জ্বর নেমে যাবে।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : হযরত মূসা (আ.) একদিন আল্লাহ্র কাছে মুনাজাত করার সময় এক ব্যক্তিকে আল্লাহ্র ‘আরশের ছায়াতলে দেখতে পেলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন : ‘হে আমার রব! এই ব্যক্তি কে, যে, তোমার ‘আরশ তার ওপরে ছায়া ফেলেছে?’ আল্লাহ্্ বললেন : ‘এ হচ্ছে এমন এক ব্যক্তি যে তার পিতা ও মাতার কল্যাণ করেছে এবং সে চোগলখুরি করে নি।’
হযরত ইমাম জা‘ফর সাদেক (আ.)-কে জিজ্ঞেস করেন : ‘সবচেয়ে মূল্যবান আমল কোনটি?’ হযরত ইমাম এরশাদ করেন : ‘সময়মতো নামায আদায় করা, পিতামাতার প্রতি সদাচরণ ও তাদের কল্যাণ সাধন এবং আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ।’
হযরত ইমাম জা‘ফর সাদেক (আ.) এরশাদ করেন : ‘পিতামাতাকে কষ্টদানের পার্থিব পরিণতিসমূহের অন্যতম হচ্ছে দো‘আ কবূল না হওয়া এবং তা (নৈতিক-আত্মিক) পরিবেশকে অন্ধকার করে।’
হযরত ইমাম জা‘ফার সাদেক (আ.) এরশাদ করেন : ‘পাত্রাদি ধৌতকরণ এবং যিন্দেগীর পরিবেশকে (বাসস্থান ও তার আশপাশকে) ঝাড়– দেয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা রুযী বৃদ্ধির কারণ।’
হযরত ইমাম জা‘ফার সাদেক (আ.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এরশাদ করেছেন : ‘যে ভূখ-ে তিনটি উপাদান নেই সেখানে যিন্দেগী উপভোগ্য নয়, তা হচ্ছে : পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হাওয়া, প্রচুর ও সুপেয় পানি এবং কৃষিযোগ্য উর্বর যমীন।’
হযরত ইমাম মূসা কাযেম্ (আ.) এরশাদ করেন : ‘যে কেউ তার ভাইদের ও স্বীয় পরিবারের কল্যাণ সাধন করে তার হায়াত দীর্ঘ হয়।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘যে কেউ হালাল পন্থায় রুযী সন্ধান করে এবং নিজের ও স্বীয় পরিবারের জন্য ব্যয় করে সে হচ্ছে আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদরত ব্যক্তির ন্যায়।’
‘মাফাতিহুল হায়াত’ গ্রন্থ থেকে সংকলিত
অনুবাদ : নূর হোসেন মজিদী