স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১৭, ২০২০
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এক ব্যক্তির উদ্দেশে এরশাদ করেন : ‘আমি তোমাকে নসীহত্ করছি যে, যখনই তুমি কোনো কাজ আঞ্জাম দিতে চাইবে তখন তার পরিণতি সম্বন্ধে চিন্তা করবে; কাজটি যদি উন্নতি ও হেদায়াতের উৎস হয়ে থাকে তাহলে তা আঞ্জাম দাও এবং তা যদি ফাসাদ্ ও ধ্বংসের উৎস হয়ে থাকে তাহলে তা বর্জন করো।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন : ‘যে কেউ জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদেরকে দেখতে চায় সে যেন জ্ঞানার্জনে রতদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে। আল্লাহ্র শপথ, জ্ঞানসন্ধানী ব্যক্তি (তালেবে ‘ইল্ম্) জ্ঞানীর গৃহের পানে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে আল্লাহ্্ তার জন্য এক বছরের ইবাদত লিখে দেন এবং তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার জন্য বেহেশতে একটি শহর তৈরি করে দেন। সে যখন যমীনের ওপর দিয়ে পথ চলে যমীন তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং এমন অবস্থায় তার সকাল ও সন্ধ্যা হয় যে, তাকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং ফেরেশতারা সাক্ষ্য দেন যে, সে জাহান্নামের আগুন থেকে রেহাই পেয়েছে।’
হযরত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন : ‘কেউ স্বীয় কাজের দ্বারা অর্জিত খাবারের চেয়ে উত্তম খাবার কখনো খায় নি। আর নবী দাউদ (আ.) স্বীয় কাজের মাধ্যমে অর্জিত খাবার খেতেন।’
আমীরুল মু‘মিনীন হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘জীবনের সুদৃঢ়তা উত্তম কর্মপরিকল্পনায় নিহিত এবং তার মানদ- হচ্ছে উত্তম লক্ষ্যে দূরদর্শিতা।’
হযরত আলী (আ.) এরশাদ করেন : ‘সবচেয়ে উপভোগ্য যিন্দেগী হচ্ছে কৃত্রিম আনুষ্ঠানিকতাকে দূরে নিক্ষেপ।’
হযরত ইমাম হাসান মুজ্তাবা (আ.) যখনই নামাযের জন্য দাঁড়াতেন তখন তাঁর সর্বোত্তম পোশাকটি পরিধান করতেন। লোকেরা জিজ্ঞেস করল : “আপনার সর্বোত্তম পোশাকটি পরেছেন কেন?’ তিনি এরশাদ করেন : ‘‘আল্লাহ্্ সুন্দর এবং সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। এ কারণে আমি আমার রবের জন্য নিজেকে সুন্দর করছি। তাছাড়া তিনি (আল্লাহ্্) এরশাদ করেছেন : ‘তোমরা যে কোনো নামাযের জায়গায় তোমাদের সৌন্দর্য ধারণ করো।’ এ কারণে আমি (নামাযের সময়) আমার সর্বোত্তম পোশাক পরিধান পছন্দ করি।’’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : ‘রাসূলুল্লাহ্ (সা.) তাঁর উম্মাতকে হাতে স্বর্ণের আংটি পরিধান করতে এবং বিভিন্ন ধরনের সোনার কাজ করা পোশাক ও রেশমি পোশাক পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।’
হযরত ইমাম বাকের (আ.) এরশাদ করেন : ‘তোমরা যখন সবুজ ভূমিতে সফর করবে তখন আস্তে অগ্রসর হও এবং যখন শুষ্ক ও অনাবাদী ভূমি অতিক্রম করবে তখন দ্রুত অতিক্রম করে যাও।’
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) এরশাদ করেন : ‘মু‘মিনের জন্য নিজেকে লাঞ্ছিত করা শোভা পায় না।’ প্রশ্ন করা হলো : ‘কীভাবে সে নিজেকে লাঞ্ছিত করে? তিনি বললেন : ‘সে এমন কাজে হাত দেয় যা করা তার সাধ্যের বাইরে।’
হযরত ইমাম জা‘ফর সাদেক (আ.) এরশাদ করেন : ‘পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নবী-রাসূলগণের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহের অন্যতম।’
হযরত ইমাম মূসা কাযেম্ (আ.) এরশাদ করেন : ‘মাথার সাথে সম্পর্কিত সুন্নাতসমূহের অন্যতম হচ্ছে চুল আঁচড়ানো।’
হযরত ইমাম রেযা (আ.) এরশাদ করেন : ‘জুমুআর দিনে পাগড়ি পরিধান করা, সর্বোত্তম ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা এবং সর্বোত্তম আতর দ্বারা নিজেকে খুশবু করা মুস্তাহাব।’
(মাফাতীহুল্ হায়াত্ গ্রন্থ থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : নূর হোসেন মজিদী