স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০১৮
মহানবী (সা.) বলেন : আমার উম্মতের মধ্যে যে দিনাতিপাত করে আর তার উদ্দেশ্য থাকে আল্লাহ্ ভিন্ন অন্য কিছু, সে আল্লাহ্র থেকে (রহমত ও সাহায্যপ্রাপ্ত) নয়। আর যে মুসলমানদের সমস্যার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় না সে তাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। আর যে সাগ্রহে অপমান মাথা পেতে নেয় সে আমাদের আহলে বাইত থেকে (আহলে বাইতের অনুসারীদের মধ্যে গণ্য) নয়।
মহানবী (সা.) বলেন : জেনে রাখ, আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হলো তারা যাদেরকে অনিষ্টতার ভয়ে (অনিষ্টতা থেকে বাঁচার জন্য) সম্মান করা হয়। আর সাবধান! যে মানুষের অনিষ্টতার ভয়ে তাকে সম্মান করে সে আমার থেকে নয়।
মহানবী (সা.) বলেন : কোনো উত্তম কাজকেই লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে করো না আর লজ্জার বশে তা পরিত্যাগ করো না।
মহানবী (সা.) বলেন : মুমিনের আপাদমস্তক সম্মানীয় : তার সম্ভ্রম, তার ধন-সম্পদ এবং তার রক্ত।
মহানবী (সা.) বলেন : পরস্পর করমর্দন কর। কারণ, করমর্দন (পারস্পরিক) বিদ্বেষ দূর করে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : নামায হলো প্রত্যেক পরহেজগারের জন্য নৈকট্যের উপকরণ। হজ হলো প্রত্যেক অসামর্থ্যরে জন্য জিহাদস্বরূপ। সবকিছুরই যাকাত রয়েছে, আর শরীরের যাকাত হলো রোযা। ব্যক্তির জন্য সর্বোত্তম কাজ হলো আল্লাহ্্র উদ্দেশ্যে মুক্তি কামনায় অপেক্ষা করা। যে ব্যক্তি দোয়া করে কিন্তু আমল করে না, সে হলো সেই ব্যক্তির ন্যায়, যে ধনুকের ছিলা ছাড়া তীর নিক্ষেপ করে। যে ব্যক্তি নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে যে, প্রতিদান লাভ করবে, সে দান করে। সাদাকাহ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা কামনা কর। যাকাত পরিশোধের মাধ্যমে স্বীয় ধনকে বীমা কর।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : যে আল্লাহ্্র ইবাদাত কর তাঁর মারেফাত (পরিচয় জ্ঞান)-কে মনের মধ্যে স্থান দিবে যাতে তোমাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা ইবাদত তোমাদের জন্য ফলদায়ক হয়।
এক ব্যক্তি যে দুনিয়াবিমুখতা ও কৃচ্ছ্রতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল তাকে ইমাম (আ.) বলেন : হে অমুক! তুমি কি আল্লাহ্্র এ কথা শোননি যে, তিনি বলেন : ‘আর তোমার প্রতিপালকের নেয়ামতের ব্যাপারে আলোচনা কর।’ (সূরা দুহা : ১১) আল্লাহ্্র শপথ! আল্লাহ্্র নেয়ামতকে কাজের মাধ্যমে প্রচার করা জিহ্বা দ্বারা প্রচারের চেয়ে শ্রেয়তর।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : যে বান্দা আশাকে দীর্ঘায়িত করে সে পরকালকে ভুলে যায়।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : মৃত্যুবরণ, তবুও লাঞ্ছনা নয় এবং আত্মসংযম, তবুও আত্মপরাজয় ও নতজানুতা নয়। আর জীবন দুই দিনের : সুখের আর দুঃখের। সুতরাং তোমার সুখের দিনে উন্মাদনা কর না আর দুঃখের দিনে মন খারাপ কর না। কারণ, এ উভয় অবস্থাতেই তুমি পরীক্ষার মধ্যে রয়েছ।
ইমাম হাসান (আ.) বলেন : হাতের চেয়ে কোনো কিছুই দেহের নিকটবর্তী নয়। আর নিশ্চয় এ হাতই কখনও কখনও ভেঙে যায় এবং পচে নষ্ট হয়ে যায় ফলে তা কেটে ফেলতে এবং বিচ্ছিন্ন করতে হয়।
ইমাম হাসান (আ.) বলেন : যে ব্যক্তি আস্থা রাখে যে, আল্লাহ্্ তার জন্য যা কিছু করেন সেটা ভালো, সে আল্লাহ্্ তার জন্য যা নির্বাচিত করেছেন সে অবস্থার বাইরে থাকার আশা করে না।
ইমাম হোসাইন (আ.) বলেন : নিশ্চয় মুমিন ব্যক্তি আল্লাহ্্কে নিজের সংরক্ষক গণ্য করে আর তার কথাবার্তাকে নিজের দর্পণ হিসাবে। একবার মুমিনদের গুণ বিশেষণের দিকে তাকায়, আরেকবার স্বেচ্ছাচারীদের বিশেষণের দিকে তাকায়। সুতরাং সে এ দিক থেকে (কোরআনের) সূক্ষ্ম ও আকর্ষণীয় এক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্ভুক্ত এবং নিজেকে চেনার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে এবং স্বীয় বিচক্ষণতার দ্বারা নিশ্চিত বিশ্বাসের পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং নিজের পবিত্রতার মাধ্যমে আস্থা অর্জন করেছে।
ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেন : আল্লাহ্্র এমন বিচার যা বান্দার নিকট অপছন্দনীয়, বান্দা তাতে সন্তুষ্ট থাকা হলো ইয়াকীনের সর্বোচ্চ স্তর।
(তুহাফুল উকূল থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : আব্দুল কুদ্দুস বাদশা