শুক্রবার, ৩১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

স্মরণীয় বাণী

পোস্ট হয়েছে: মে ১৬, ২০১৮ 

মহানবী (সা.) বলেন : কোনো ব্যক্তি তোমাদেরকে উপকার করলে তাকে তার বিনিময় দিবে। আর যদি তোমাদের কিছু না থাকে তাহলে প্রশংসা কর। কেননা, নিশ্চয় প্রশংসা হলো প্রতিদান।
মহানবী (সা.) বলেন : হতভাগ্যের লক্ষণ চারটি : চোখের শুষ্কতা (পাপের পরও অনুশোচিত না হওয়া), অন্তরের পাষাণত্ব, দুনিয়া কামনায় অতিশয় লোভ আর পাপকর্ম অব্যাহত রাখা।
মহানবী (সা.) বলেন : শেষ জামানায় সবচেয়ে কম যে জিনিস থাকবে তা হলো বিশ্বস্ত ভাই আর হালাল অর্থ।
মহানবী (সা.) বলেন : যখন কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন কোনো বান্দারই পা সরবে না যতক্ষণ না তাকে চারটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে : তার আয়ুষ্কাল সম্পর্কে- তা কোন্ পথে নিঃশেষ করেছে, তার যৌবন সম্পর্কে- তা কোন্ কাজে ব্যবহার করেছে, তার আয়-উপার্জন সম্পর্কে- তা কোন্ পথে অর্জন করেছে এবং কোন্ কাজে ব্যয় করেছে আর আমার আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কে।
মহানবী (সা.) বলেন : লজ্জা দু’টি : বুদ্ধিমত্তার লজ্জা আর বোকামিপ্রসূত লজ্জা। বুদ্ধিমত্তার লজ্জা জ্ঞানের পরিচয় বহন করে আর বোকামিপ্রসূত লজ্জা মূর্খতার পরিচায়ক।
মহানবী (সা.) বলেন : সদাচার তার অধিকারীকে সারাদিন রোযা রাখা ও সারারাত জেগে ইবাদত করা ব্যক্তির সমান মর্যাদায় পৌঁছে দেয়। তখন তাঁকে বলা হলো : বান্দার প্রতি সবচেয়ে উত্তম দান কী? তিনি বললেন : উত্তম চরিত্র।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : আল্লাহর নিকট প্রিয়তম পথ হলো দুই ঢোক। একটি হলো ক্রোধকে তিতিক্ষা দ্বারা গিলে ফেলবে। আরেকটি হলো দুঃখকে ধৈর্য দ্বারা গিলে ফেলবে। আর আল্লাহর নিকট প্রিয়তম পথ হলো দুই ফোঁটা। রাতের আঁধারে (আল্লাহর ভয়ে) এক ফোঁটা অশ্রু আর আল্লাহর রাহে এক ফোঁটা রক্ত। আর আল্লাহর নিকট প্রিয়তম পদক্ষেপ হলো দুটি। কোনো মুসলমান ব্যক্তির এমন পদক্ষেপ যা আল্লাহর পথে জিহাদকারীদের সারিকে মজবুত করে। আরেকটি পদক্ষেপ হলো রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়তাকে জোড়া লাগানো। আর এই দ্বিতীয় পদক্ষেপটি জিহাদের জন্য পদক্ষেপের চেয়ে উত্তম।
ইমাম আলী (আ.)-কে প্রশ্ন করা হলো : আল্লাহর যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে সর্বোত্তম কী? ইমাম বললেন : কথা বলা। প্রশ্ন করা হলো : আল্লাহ্ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে নিকৃষ্ট কী? ইমাম পুনরায় বললেন : কথা বলা। অতঃপর বললেন : কথার দ্বারাই মুখ উজ্জ্বল হবে আর কথার দ্বারাই মুখ কৃষ্ণবর্ণ হবে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : হে মানুষ! দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থেক। কারণ, এটাই হলো সকল বিচ্যুতির কারণ, সকল বিপদের দরজা এবং সকল ফেতনার (বিশৃঙ্খলার) সঙ্গী এবং সকল ভোগান্তির কারণ।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : দীনদারদের কিছু চিহ্ন রয়েছে যা দ্বারা তাদের চেনা যায়। যথা : সত্যবাদিতা, আমানত রক্ষা, প্রতিশ্রুতি পালন, স্বজনদের মধ্যে সম্পর্ক জোড়া লাগানো, অক্ষমদের প্রতি দয়াবান হওয়া, নারীদের সাথে কম মেলামেশা করা, সৎ স্বভাবী হওয়া, ধৈর্যশীল হওয়া এবং জ্ঞান ও যা কিছু আল্লাহ্ নিকটবর্তী করে তার অনুসরণ করা। অতএব, ধন্য হোক তারা এবং তাদের উত্তম প্রত্যাবর্তন।
ইমাম মুহাম্মাদ আল বাকের (আ.) বলেন : ইমাম (আ.) বলেন : নিশ্চয় যে ব্যক্তি কোনো নতুন ধনী লোকের মুখাপেক্ষী হয় তার উপমা হলো ঐ দেরহামের ন্যায় যা কোনো বিষধর সাপের মুখে রয়েছে, যা একদিকে তোমার প্রয়োজন অপরদিকে সমূহ বিপজ্জনক।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : নিশ্চয় মুমিন ব্যক্তি যখন সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ শোনে তখন তা পালন করে আর যে মূর্খ সে শেখে, কিন্তু যে চাবুক ও তলোয়ারের অধিকারী সে তা গ্রহণ করে না।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : তোমাদের পিতাদের সাথে সুন্দর আচরণ কর যাতে তোমাদের পুত্ররা তোমাদের সাথে সুন্দর আচরণ করে। আর লোকের স্ত্রীদের থেকে পবিত্র থেক যাতে তোমাদের স্ত্রীরা পবিত্রা থাকে।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : সুখের সময় আল্লাহ্র নেয়ামত হলো অনুগ্রহ আর কষ্টের মধ্যে তাঁর নেয়ামত হলো (গুনাহ থেকে) পবিত্র হওয়া।
ইমাম আলী ইবনে মূসা আর রেযা (আ.) বলেন : কোনো বান্দাই প্রকৃতপক্ষে ঈমানের পূর্ণতায় পৌঁছতে পারবে না যতক্ষণ না তিনটি গুণের অধিকারী হবে : দীনে গভীর জ্ঞান, জীবন-জীবিকায় পরিমিতি এবং বিপদে ধৈর্যধারণ।
(তুহাফুল উকূল থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : আব্দুল কুদ্দুস বাদশা