স্মরণীয় বাণী
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ২২, ২০১৮
মহানবী (সা.) বলেন : যে ব্যক্তি মানুষের সাথে লেনদেন করে এবং তাদের প্রতি অন্যায় করে না, তাদের সাথে কথা বলে এবং মিথ্যাচার করে না আর তাদের সাথে অঙ্গীকার করে এবং তা ভঙ্গ করে না সে হলো এমন ব্যক্তি যার পৌরুষত্ব পূর্ণতাপ্রাপ্ত এবং তার ন্যায়পরায়ণতা প্রকাশ পেয়েছে এবং তার প্রতিদান অপরিহার্য হয়েছে আর তার গীবত নিষিদ্ধ হয়েছে।
মহানবী (সা.) হযরত আলী (আ.)-কে বলেন : হে আলী! কথার রোগ হলো মিথ্যা আর জ্ঞানের রোগ বিস্মৃতি, ইবাদতের রোগ অলসতা, দানের রোগ করুণা দেখানো ও এজন্য গর্ব করা, সাহসিকতার রোগ অত্যাচার, সৌন্দর্যের রোগ অহঙ্কার আর বংশের রোগ বড়াই।
মহানবী (সা.) বলেন : বিপদগ্রস্তদের বিচ্যুতিসমূহকে মার্জনা কর।
মহানবী (সা.) বলেন : তোমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ককে জোড়া লাগাও, এমনকি যদি সালাম প্রদানের মাধ্যমেও হয়।
মহানবী (সা.) বলেন : নিশ্চয় আল্লাহ্ যখন তাঁর বান্দাকে নেয়ামত দান করেন তখন তার ওপর সে নেয়ামতের প্রভাব দেখতে পছন্দ করেন। আর জীবনের মন্দত্ব ও মন্দভাবে জীবনযাপন করাকে ঘৃণা করেন।
মহানবী (সা.) বলেন : আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের মধ্যে কিছু বান্দাকে সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। তারা পরোপকারে তৃপ্তি লাভ করে এবং দানশীলতাকে মহত্ত্বের কাজ বলে মনে করে। আর আল্লাহ্ উত্তম চরিত্রকে পছন্দ করেন।
মহানবী (সা.) বলেন : মুমিন যে কোনো বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে পারে তবে কখনই মিথ্যা এবং বিশ্বাসঘাতকতার বৈশিষ্ট্য তার মধ্যে থাকতে পারে না।
মহানবী (সা.) বলেন : সেই ব্যক্তি কোরআনের প্রতি ঈমান আনে নি যে তার হারামকে হালাল গণ্য করে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : সকল কল্যাণ নিহিত রয়েছে তিনটি জিনিসের মধ্যে : দৃষ্টিপাত করা, নীরব থাকা এবং কথা বলা। যে দৃষ্টিপাতের মধ্যে শিক্ষা নেই তা ভ্রান্ত। আর যে নীরবতার মধ্যে অনুধ্যান নেই তা উদাসীনতা। আর যে কথার মধ্যে যিকির (আল্লাহ্্র স্মরণ) নেই তা অনর্থক। ধন্য সেই ব্যক্তি যার দৃষ্টিপাত শিক্ষার হয়, যার নীরবতা অনুধ্যানের হয় আর যার কথা যিকির হয়। আর যে স্বীয় ভুলের জন্য ক্রন্দন করে এবং মানুষ যার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : গোনাহের মধ্যে ডুবে থেকে ইস্তিগফার করা নিজেই আরেকটি নতুন গোনাহের কাজ।
ইমাম আলী (আ.) বলেন : সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো মুসলমানের সম্পদ অন্যায়ভাবে হস্তগত করা।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেন : কর্ম ও আচরণ দুই ধরনের। একটি নিয়ত থেকে উৎসারিত এবং অপরটি স্বভাববশত। বলা হলো : কোনটি উত্তম? তিনি বললেন : যেটি নিয়ত থেকে উৎসারিত। কারণ, যে স্বভাববশত ভালো কাজ করে সে তাতে প্রকৃিতস্থ হয়েছে, তা ভিন্ন অন্য কাজ করতে পারে না। আর যে নিয়তের অধিকারী সে আনুগত্যে ধৈর্যধারণ করে। আর এটা হলো শ্রেয়তর।
ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-কে বলা হলো : পৌরুষ কী? উত্তরে তিনি বলেন : আল্লাহ্ যেখানে তোমাকে নিষেধ করেছেন সেখানে যেন না দেখেন আর যেখানে তোমাকে আদেশ দিয়েছেন সেখানে যেন অনুপস্থিত না দেখেন।
ইমাম আলী ইবনে মূসা আর রেযা (আ.) বলেন : কোনো বান্দাই প্রকৃতপক্ষে ঈমানের পূর্ণতায় পৌঁছতে পারবে না যতক্ষণ না তিনটি গুণের অধিকারী হবে : দীনে গভীর জ্ঞান, জীবন-জীবিকায় পরিমিতি এবং বিপদে ধৈর্যধারণ।
(তুহাফুল উকূল থেকে সংকলিত)
অনুবাদ : আব্দুল কুদ্দুস বাদশা