শিল্পকলায় চিত্রকর্মের ভাষাবিষয়ক সেমিনার
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮
শিল্পরসিকের আগমনে সরগরম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী। রোববার আয়োজনের দ্বিতীয় দিনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি সেমিনার। বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে সমসাময়িক চিত্রকর্মের ভাষাবিয়ক সেমিনার ‘আর্ট অ্যান্ড কনটেম্পরারি ন্যারেটিভস’। সেমিনারে প্রখ্যাত ভারতীয় চিত্রকর যোগেন চৌধুরী প্রাণবন্ত বক্তব্য দেন। শিল্প-সমালোচক আবুল মনসুরের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচনা করেন স্পেনের কিউরেটর ও শিল্প-সমালোচক ব্লাংকা ডি লা টোরে এবং ভারতের শিল্প-সমালোচক কৃষ্ণা শেঠি।
উপমহাদেশে পশ্চিমা শিল্পরীতির অনুকরণের বিষয়টি তুলে যোগেন চৌধুরী বলেন, গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ভারতের অনেক শিল্পী পাশ্চাত্যের শিল্পীদের অনুসরণ করে বিমূর্ত রীতির ছবি আঁকতেন। শুধু তাই নয়, এই অ্যাবস্ট্রাক্ট ছবির আঁকার মাধ্যমে তারা নিজেদের অভিজাত বলেও প্রচার করতেন। আমার ছাত্রদের মাঝেও এ প্রবণতা দেখেছি। তারা নিজের মতো করে কিছু একটা এঁকে সেটা বিমূর্ত ধারার ছবি বলে চালানোর চেষ্টা করত। শেষ পর্যন্ত ওই ধরনের চিত্রকর্মগুলো আসলে কিছুই হতো না।
শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা : সকালে অনুষ্ঠিত সেমিনারের বিষয় ছিল ‘আর্ট, পেডাগোগি অ্যান্ড প্রমোশন’। সকালের পর্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেশের চিত্রসমালোচক মুস্তাফা জামান। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দুই অধ্যাপক ফকরুল আলম ও শামশাদ মর্তুজা এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। চিত্রসমালোচক অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজক শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আজ সোমবার সকালে ও বিকালে একই বিষয়ের ওপর অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিনার। এতে অংশ নেবেন বিশ্বখ্যাত জাপানের শিল্পী তেতসুইয়া নোদা ও আন্তর্জাতিক শিল্প-সমালোচক সংস্থার সভাপতি মারেক বার্টেলিক।
বাতিঘরের ‘ঊর্ণাজাল’ মঞ্চস্থ : নাটকের দল বাতিঘরের প্রযোজনায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হল নাটক ‘ঊর্ণাজাল’। রোববার সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। এটি ছিল নাটকটির ১৮তম প্রদর্শনী। বিদেশ থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে নিজ গ্রামে ফেরে খালেদ। স্কুলের জন্য রেখে যাওয়া বাবার স্বপ্নের একখণ্ড জমিতে মাদ্রাসা গড়ে তোলে সে। অন্যদিকে, সাঁইজির আখড়ায় বেড়ে ওঠা গায়েন সয়ফুল খালেদের বাল্যবন্ধু। ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে শিল্পের মনঃসংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয় শিল্পী। ঘুণে কাটে একতারাটি। এদিকে চোখ দান করে যাওয়া জয়নাল গাতকের জানাজা পড়ানোর দায়ে ইমামের জিভ কেটে নেয় কে বা কারা। সুযোগে ধর্মীয় মতবাদের আশ্রয়ে ঢুকে পড়ে অপকৌশল-কূটনীতি। এভাবেই এগিয়েছে নাটকটির কাহিনী। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুক্তনীল, সাদ্দাম রহমান, সাদিয়া ইউসুফ বৃতা, শাফিন আহমেদ অশ্রু প্রমুখ।