শনিবার, ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

শহীদ জাভেদ বাহোনার- ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল

পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ৬, ২০১৪ 

news-image

শহীদ প্রধানমন্ত্রী হুজ্জাতুল ইসলাম জাভেদ বাহোনার ১৯৩৩ সালে কেরমান শহরে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পবিত্র কুরআনের ওপর প্রাথমিক কোর্স সম্পন্ন করার পর কেরমানের মাসুমিয়াহ স্কুলে ধর্মতত্ত্ব বিজ্ঞানের ওপর অধ্যয়ন করেন। কোমে ধর্মতত্ত্বের ওপর পড়াশুনা শেষে তিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এখান থেকে তিনি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং শিক্ষাবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

ড. বাহোনার সবসময় তাঁর লেখা ও বক্তৃতায় ইসলাম প্রচার করতেন। তিনি ইসলামী তাওহিদী কেন্দ্রনামে একটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছিলেন। রাফাহ স্কুল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬২ সালে তিনি ইমাম খোমেইনীর নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে ইসলামী এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশ নেন।

১৯৬৩ সালে ১৫ই খোরদাদের ঘটনার প্রেক্ষাপটে কয়েকটি স্থানে বক্তৃতা দেয়ার পর তিনি গ্রেফতার হন। ১৯৭৮ সালে ড. বাহোনার ইমাম খোমেইনীর আদেশে আলী খামেনেয়ী, আবদুল করিম মুসাভী আরদেবিলি এবং হাশেমী রাফসানজানীর সহযোগিতায় বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করার দায়িত্ব পান। তিনি ইসলামী রিপাবলিকান পার্টি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহযোগিতা করেন।

ইসলামী বিপ্লব সফল হওয়ার পর ড. বাহোনার ইসলামী বিপ্লবী পরিষদের সদস্য, খসড়া শাসনতন্ত্র বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য, পার্লামেন্টের সদস্য, রাজাই মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী, ইসলামী রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রধানমন্ত্রী প্রভৃতি পদ অলংকৃত করেন।

মোহাম্মদ আলী রাজাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ৫ আগস্ট ড. বাহোনার প্রধানমন্ত্রী হন। এর মাত্র কয়েকদিন পরই ৩০ আগস্ট তিনি প্রেসিডেন্ট ভবনে সাম্রাজ্যবাদের এজেন্টদের পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে শহীদ হন। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত কর্মী, কর্মঠ ব্যক্তিত্ব। তিনি আমাদের জন্য নিষ্কলুষ দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

(নিউজলেটার, আগস্ট ১৯৯১)