শত্রুর মোকাবেলায় দৃঢ়তা বিজয় এনে দেয়: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
পোস্ট হয়েছে: জুন ২৯, ২০২২
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2022/06/Capture44.jpg)
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, শত্রুর মোকাবেলায় দৃঢ়তা প্রদর্শনের মাধ্যমে বিজয় ও সাফল্য নিশ্চিত হয়। তিনি মঙ্গলবার ইরানের বিচার বিভাগের একদল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন। ইরানের জাতীয় বিচার বিভাগ সপ্তাহ উপলক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ইরান দুর্বল হয়ে পড়বে বলে গত চার দশক ধরে শত্রুরা দুরাশায় বুক বেধেছে, কিন্তু তারা বারবারই হতাশ হয়েছে। তাদের সমস্যা হলো তারা এর রহস্য বুঝতে পারে না। তারা এটা বুঝতে পারে না যে, বিশ্বজগতে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ ও সম্পর্কের বাইরেও আরেকটি হিসাব-নিকাশ ও সম্পর্ক রয়েছে। আর তাহলো ঐশী রীতি।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন, ১৯৮১ সালে ইরানে একটি গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সংসদের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। বেহেশতীর মতো বিশাল ব্যক্তিত্ব শাহাদাৎবরণ করেন। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীও শহীদ হন। এর কিছু দিন পর পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের একদল সিনিয়র সেনা কমান্ডারও শহীদ হন। বিশ্বে কি এমন আর কোনো দেশ আছে যারা এত সব ঘটনার মোকাবেলায় রুখে দাঁড়াতে পেরেছে? ইরানের জনগণ এবং কর্মকর্তারা এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। ইমাম খোমেনী দামাভান্দ পর্বতের মতো সব রুখে দিয়ে পরিস্থিতিতে ১৮০ ডিগ্রি পরিবর্তন এনেছেন।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, সূরা হজের এই মহান আয়াতটি আমাদের সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য স্পষ্ট করেছে: আমর বিল-মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার অর্থাৎ সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ। সৎকাজ কী? সুবিচার, ন্যায়পরায়ণতা, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামি মূল্যবোধ এসব হলো সৎ কর্ম। আমাদেরকে সৎ কাজের আদেশ করতে হবে। পার্সটুডে