মঙ্গলবার, ১১ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

রেডিও তেহরানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকের মৃত্যু, আজিমপুরে দাফন সম্পন্ন

পোস্ট হয়েছে: জুন ১৪, ২০১৭ 

news-image

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরা‌নের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার (আইআরআইবি) বিশ্বকার্যক্রমের বাংলা বিভাগের (রেডিও তেহরান) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লা‌হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা‌জিউন)।

মঙ্গলবার ভোর ৪ টায় রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান রেডিও তেহরানকে জানিয়েছেন, জনাব ফরিদ উদ্দিন খান হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যাসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য গত ১৫ মে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৫/৬ দিন তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। অবশেষে আজ ভোরে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে চলে যান।

অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান আরও জানান, মরহুমের প্রথম নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বারিধারার ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সেস বা ইউআইটিএস ক্যাম্পাসে। ফরিদ উদ্দিন খান ইউআইটিএস রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও অধ্যাপক ছিলেন। ওই জানাজায় ঢাকায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত ড. আব্বাস ভায়েজি দেহনাভিসহ বহু মানুষ অংশ নেন।

মরহুমের দ্বিতীয় নামাযে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে। মঙ্গলবার দুপুরের পর ঢাকার আজিমপুর গোরস্তানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়।

মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান ১৯৫০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সম্মানসহ মাষ্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক ফরিদ উদ্দিন খান ১৯৭৭ সালে ইরান আসেন। ১৯৮২ সালের ১৭ এপ্রিল রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের কার্যক্রম তাঁর অধীনেই শুরু হয়। তিনি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।

ইরানে অবস্থানকালে তিনি ইসলামী বিপ্ল‌বের মহান নেতা ইমাম খো‌মেনী (রহ.) -এর সাহচার্য পে‌য়ে‌ছি‌লেন। তি‌নি মরহুম ইমাম খো‌মেনীর ক‌বিতাসহ বিখ্যাত সু‌ফি সাধক জালালু‌দ্দিন রুমী (রহ.), ফ‌রিদ উদ্দীন আত্তার (রহ.) ও আল্লামা জামী (রহ.)-এর অনেক লেখার বাংলা অনুবাদ ক‌রে‌ছেন। এছাড়া, ইরান ও বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় বাংলা, ইংরেজি ও ফার্সি ভাষায় তাঁর অসংখ্য প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ও সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।