শুক্রবার, ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ইসলামি উম্মাহ্র ঐক্য অপরিহার্য

পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১৭, ২০২০ 

সম্পাদকীয়

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ.
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلا.
‘মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহ্র সাথে কৃত তাদের অঙ্গীকার পূর্ণ করেছে, তাদের কেউ কেউ শাহাদাত বরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে; বস্তুতঃ তারা তাদের অঙ্গীকারে কোনোই পরিবর্তন করে নি।’ (সূরা আল্-আহ্যাব : ২৩)
এমন এক অবস্থায় নিউজলেটারের অত্র সংখ্যার স¤পাদকীয় নিবন্ধ লিখছি যখন কাফের ও তাকফিরীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে ইসলামি শক্তির অন্যতম অগ্রসেনানী হাজ্বী ক্বাসেম সোলায়মানি আর আমাদের মাঝে নেই; গত ৩রা জানুয়ারি (২০২০) বিশ^ব্যাপী সন্ত্রাসবাদের হোতা ও লালনকারী বলদর্পী আমেরিকার কাপুরুষোচিত হামলায় তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘ঊন্।) হাজ্বী ক্বাসেম সোলায়মানির শাহাদাতে আমরা নিউজলেটারের পাঠক-পাঠিকাগণ সহ সারা বিশে^র, বিশেষত বাংলাদেশের সকল মুসলিম ও মুস্তায‘্আফ্ জনগণের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে এ মহান শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত্ কামনা করছি।
হাজ্বী ক্বাসেম সোলায়মানিকে এ কারণে শহীদ করা হয় যে, তাঁর লক্ষ্য ছিল ইসলামের চির দুশমন সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার গড়া আইএস নামধারী তাকফিরী সন্ত্রাসীদের বাতিল চিন্তাধারার গতিরোধ করা ও মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামি ভূখ- থেকে তাদেরকে সমূলে উৎপাটিত করা। আইএস-বিরোধী হবার অভিনয়কারী বলদর্পী আমেরিকার দৃষ্টিতে হাজ্বী ক্বাসেম সোলায়মানির অপরাধ ছিল এই যে, তিনি ফিলিস্তিন-গ্রাসী যায়নবাদী সরকারের পৃষ্ঠপোষক আইএস-সন্ত্রাসীদেরকে ইরাক ও সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। তাই তাঁকে শহীদ করে মার্কিন সরকার নিজেকে একটি সন্ত্রাসী সরকার হিসেবে আরো একবার প্রমাণ করলোÑ যে সরকার কোনো আন্তর্জাতিক আইনের ও মানবাধিকারের প্রতি ন্যূনতম সম্মানও প্রদর্শন করে না।
যদিও তৎকালীন ইরানের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত ড. মোসাদ্দেকের সাংবিধানিক ও আইনগত বৈধ সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটানোর কারণে এ পর্যন্ত মার্কিন সরকার ইরানি জাতির নিকট প্রধানতঃ একটি সামরিক অভ্যুত্থান সৃষ্টিকারী সরকার হিসেবে পরিচিত ছিলÑ যে সরকার বিশে^র আরো বহু দেশে তার সেবাদাসদের দিয়ে সামরিক অভ্যুত্থান সৃষ্টি করে আসছে, তবে এবার ইরানি জনগণের নিকট মার্কিন সরকারের চেহারা প্রধানতঃ একটি সন্ত্রাসী সরকার হিসেবে সুস্পষ্ট হলÑ যে সরকার ইসলামি ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষদেরকে সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে হত্যা করে থাকে। তবে শহীদ সেনাপতিদের রক্ত ইসলামি উম্মাাহ্্কে ঐক্যবদ্ধ করবে ইনশাআল্লাহ। সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ তা‘আলার ঘোষণা অনুযায়ীÑ
سَيَعْلَمُ الَّذِينَ ظَلَمُوا أَيَّ مُنْقَلَبٍ يَنْقَلِبُونَ.
‘যালিমরা অচিরেই জানতে পারবে যে, তারা কোন্ বিপরীত অবস্থায় গিয়ে উপনীত হবে।’ (সূরা আশ্-শু‘আরা : ২২৭)

ড. সাইয়্যেদ হাসান সেহাত
কালচারাল কাউন্সেলর
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস, বাংলাদেশ