সোমবার, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

রাফসানজানির ইন্তেকালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার শোক

পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ৯, ২০১৭ 

news-image

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নীতি নির্ধারণী পরিষদের প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী আকবর হাশেমি রাফসানজানির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী।

প্রবীণ বন্ধু রাফসানজানির আকস্মিক ইন্তেকালে সর্বোচ্চ নেতা এক বার্তায় গভীর এ শোক প্রকাশ করেন। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে এবং বিপ্লব সফল হওয়ার পরবর্তী সময়ে রাফসানজানি ছিলেন সর্বোচ্চ নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী।

শোকবার্তায় সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, রাফসানজানির মৃত্যু দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি এবং এ শোক বহন করা কঠিন। তিনি আরো বলেছেন, তাদের মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব ছিল ৫৯ বছরের পুরোনো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি এবং রাফসানজানি নানারকম সংকট ও জটিলতার মধ্যদিয়ে দিন পার করেছেন বলেও জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, রাফসানজানি ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমান মানুষ এবং বন্ধুত্বের বছরগুলোতে তার অনন্য ঘনিষ্ঠতা তার সঙ্গে কাজ করা সবার জন্য নির্ভরযোগ্য সমর্থন দিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কের মাঝে কখনো কখনো দুয়েকটি বিষয়ে রাফসানজানির সঙ্গে মতভিন্নতা দেখা দিলেও তা বন্ধুত্ব ছিন্ন করার কারণ হয়ে ওঠে নি।

সর্বোচ্চ নেতা ইরানের সাবেক এ প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে তার স্ত্রী, সন্তান, ভাই ও পরিবারের অন্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান এবং তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

আয়াতুল্লাহ রাফসানজানি রোববার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানী তেহরানের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ইসলামি বিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী (র) এর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন রাফসানজানি। শাহ-বিরোধী সংগ্রামের দিনগুলোতে এবং বিপ্লব সফল হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে তিনি ইরানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ইরান-ইরাক আট বছর যুদ্ধের সময় তিনি ইরানি সামরিক বাহিনীর জন্য বিকল্প কমান্ডার ইন-চিফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৮৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাফসানজানি। সূত্র: পার্সটুডে