যুবকদেরকে সত্যের পথে অবিচল থাকার আহবান ইরানের সর্বোচ্চ নেতার
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ১৯, ২০১৯

শহীদদের নেতা ইমাম হোসেইন (আ.)’র শাহাদাতের চেহলাম বার্ষিকী বা আরবাঈন উপলক্ষে শনিবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ইমাম খোমেনী (রহ.) হোসেইনিয়াতে এক শোকানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারাদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই শোকানুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী জাকজমকপূর্ণভাবে শোকানুষ্ঠান পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনাদের মধ্যে আরবাঈন উপলক্ষে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে তা অত্যন্ত মূল্যবান ও চিত্তাকর্ষক। আমি সব সময় মহান আল্লাহর দরবারে এই দোয়া করি তিনি যেন আপনাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে অটল ও অবিচল রাখেন। কারণ, আপনারা সত্যের পথে অবিচল থাকলে ইরানসহ গোটা বিশ্বে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং গোটা বিশ্ব মানবতা তা থেকে উপকৃত হবে।
শোকানুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা হুজ্জাতুল ইসলাম সা’দী বলেন, আজ ইরানি জনগণ শত্রুদের বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইমাম হোসেইন (আ.)’র প্রতিরোধের শিক্ষা থেকে গৃহিত। তিনি বলেন, সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের প্রভাবশালী গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে হক ও বাতিলকে সম্পূর্ণ উল্টো করে দেখানোর চেষ্টা করছে; কারবালার কালজয়ী বিপ্লবের পর ঠিক যেমনটি করেছিল উমাইয়া শাসকগোষ্ঠী। কিন্তু কুফা ও শামে ইমাম সাজ্জাদ (আ.) ও হযরত জয়নাব সালামুল্লাহি আলাইহার দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ উমাইয়া শাসকদের সে অপচেষ্টা নস্যাৎ করে এজিদি শাসনের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। আজও সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামীদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে একই ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
সর্বোচ্চ নেতার উপস্থিতিতে কারবালায় ইমামের শাহাদাৎ ও এর পরবর্তীকালের বিভিন্ন ঘটনার আলোকে বক্তব্য পেশ করেন হানিফ তাহেরি। এছাড়াও কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার আলোকে মর্সিয়া ও নওহা পাঠ করেনে মেয়সাম মুতিয়ি।
কারবালার ঘটনা বর্ণনা চলাকালে সেখানে উপস্থিত আহলে বায়েত (আ.)এর সকল ভক্ত ক্রন্দন করেন। এ সময় সর্বোচ্চ নেতাকেও কাঁদতে দেখা যায়। শোকানুষ্ঠানে শেষে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ নেতার ইমামতিতে যোহর ও আসরের নামায আদায় করেন। পার্সটুডে।