ম্যানগ্রোভ বন ইরানের প্রকৃতির বিস্ময়
পোস্ট হয়েছে: আগস্ট ১, ২০২১

দক্ষিণ ইরানের ২৭ হাজার ৩১০ হেক্টর ভূখণ্ডের বিস্তির্ণ জায়গা জুড়ে রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন। এটি বিশ্বের বাস্তুতন্ত্রের জন্য অন্যতম মূল্যবান একটি অংশ। কিন্তু নানান রকম দূষণ সমস্যার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে দৃষ্টিনন্দন এই বনটি।
বিশ্বে প্রায় এক কোটি হেক্টর জায়গা জুড়ে ম্যানগ্রোভ বন রয়েছে। হাজার হাজার জলজ পাখি, তীর পাখি এবং উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলের জলজ প্রজাতির পাখির জন্য এই বনাঞ্চলকে নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পৌরসভার বর্জ্য পানি, শিল্পকারখার বর্জ্য ও পেট্রোলিয়াম পণ্য এই বনে প্রবেশ করায় মূল্যবান বাস্তুতন্ত্রটি টিকে থাকার হুমকিতে পড়েছে। এর প্রভাবে গাছপালাও উজাড় হচ্ছে ব্যাপক ভাবে।
বিশ্বে ১০৭ প্রজাতির ম্যানগ্রোফ রয়েছে। এর মধ্যে দুটি প্রজাতি ইরানে জন্মে। যাকে বলা হয় হারা ও চান্দেল। ইরানের হরমোজগান, সিস্তান-বালুচিস্তান ও বুশেহর- এই তিন প্রদেশের মধ্যে পড়েছে বনাঞ্চলটি। বুশেহরে ম্যানগ্রোভ বনের তিনটি অঞ্চল রয়েছে-নায়বান্দ, বারদেস্তান ও মেল গানজেহ। বুশেহরে সর্ববৃহত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল হচ্ছে নায়িন্দ। এটি ৩৯০ হেক্টর জায়গা জুড়ে রয়েছে।
ম্যানগ্রোভ বনের প্রতি হেক্টর মাটি বছরে ৬ থেকে ৮ টন কার্বন শোষণ করতে সক্ষম। সূত্র: তেহরান টাইমস।