মহামারী, মানবতাবাদ ও আমাদের নজরুল শীর্ষক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১, ২০২০

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩১ শে আগস্ট সোমবার রাতে এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিস এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আসানসোলে অবস্থিত কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল সেন্টার ফর সোশাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজের উদ্যোগে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিশিষ্ট নজরুল গবেষক, নজরুল ইন্সটিটিউটের প্রেসিডেন্ট জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এইচ এম মুস্তাফিজুর রহমান, ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাধন চক্রবর্তী, ইরানের মাশহাদে অবস্থিত ফেরদৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল একাডেমিক রিলেশনস বিভাগের পরিচালক ড. এহসান ক্বাবুল, কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতনী খিল খিল কাজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন, ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ডেপুটি কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ মাহদি হোসেইনি ফায়েক,ভারতের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিন্দ শেখর পুরকায়েস্থ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. মোনালিসা দাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শান্তনু কে আর ঘোষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মনজ দত্ত ও ড. তির্থাঙ্কর ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অুনষ্ঠানে বক্তরা বলেন,কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে এক কালজয়ী প্রতিভা। তিনি কবিতা ও গানে স্বকীয় মহিমায় ভাস্বর। নজরুল সম্পূর্ণ নতুন এক কাব্যধারা ও সঙ্গীতরসসুধায় বাঙালির মনপ্রাণ ভরিয়ে দেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তিনি অমর হয়ে থাকবেন তাঁর মানবতাবাদী বৈপ্লবিক চেতনাসমৃদ্ধ কাব্য এবং প্রেম ও ইসলামী গানের অপূর্ব সমৃদ্ধ বাণী ও সুরের অতুলনীয় সৃজনশীলতার জন্য।
নজরুল সমসাময়িক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এবং বৈশ্বিক চিন্তা-চেতনার আলোয় অবগাহন করেছেন। আলোকিত হয়েছেন নিজ ভাষার সৃষ্টিসম্ভারের পাশাপাশি বিশ্বসাহিত্যের বর্ণচ্ছটায়। তাঁর রচনায় নিজ ধর্ম ইসলামের সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের বাণী, সুফিবাদী চিন্তাধারা যেমন মূর্ত হয়ে উঠেছে, তেমনই সমানভাবে উঠে এসেছে প্রতিবেশী হিন্দু সমাজের দর্শনও। তিনি ইসলামি সংগীত যেমন, তেমনই শ্যামা সংগীতও রচনা করেছেন। আবার প্রাচীন ফারসি সাহিত্য বিশেষ করে মহাকবি হাফিজ এবং ওমর খৈয়ামের রচনা তাঁকে বিপুলভাবে প্রভাবিত করেছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ সাহাব উদ্দিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মেহেদী হাসান এবং অনুষ্ঠান সমন্বয়ে ছিলেন ভারতের পশ্চিম বঙ্গের আসানসোলে অবস্থিত কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিস এর পরিচালক ড. স্বাতী গুহ এবং ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিস এর উপ পরিচালক রাশেদুল আনাম।