মঙ্গলে আরামদায়ক ভ্রমণে ইরানি গবেষকের কুলিং সিস্টেম উদ্ভাবন
পোস্ট হয়েছে: এপ্রিল ২৪, ২০১৮
![news-image](https://www.iranmirrorbd.com/wp-content/uploads/2018/04/2764707.jpg)
মঙ্গলগ্রহে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা বেশ আগেই হাতে নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। কিন্তু উষ্ণতার মধ্যে মঙ্গলগ্রহে যাত্রার সময় অভিযাত্রীর চারপাশের পরিবেশ শীতল রাখা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন সংস্থাটি। এবার সেই উদ্বেগের অবসান ঘটাতে যাচ্ছেন ইরানি এক গবেষক।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের উরসেস্টার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একদল যান্ত্রিক প্রকৌশলী নতুন একটি ইলেকট্রিক কুলিং সিস্টেম (শীতলকরণ ব্যবস্থা) উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন যা চলন্ত কোনো কিছুর সাথে জুড়ে দেওয়া যাবে। গবেষণা দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইরানের শীর্ষ ও প্রখ্যাত গবেষক জামাল ইয়াগহুবি।
ইতোমধ্যে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) এই ইলেক্ট্রো-হাইড্রোডায়নামিক পদ্ধতির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। যন্ত্রটি ইলেকট্রিক চার্জে চলবে। পরিবেশ ঠাণ্ডা করার জন্য তরল পদার্থ ব্যবহার করা হবে। নভোচারীর চারপাশ থেকে উষ্ণতা দূর করে পরিবেশ ঠাণ্ডা করতে এ তরল পদার্থ সংকীর্ণ পাইপের মধ্যদিয়ে চারদিকে প্রবাহিত হবে। কোনো ধরনের শব্দ বা ঝাকুনি ছাড়াই অভিযাত্রীর চারপাশ শীতল রাখবে যন্ত্রটি।
মহাকাশ ভ্রমণে নভোচারীদের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি উষ্ণতা। যদিও পৃথিবীর বহির্ভাগে মহাকাশের আবহাওয়া খুবই শীতল। কিন্তু যখন একটি মহাকাশযান সূর্যের আলোর মধ্যে পড়ে তখন এটি আকস্মিক অত্যন্ত গরম হয়ে ওঠে এবং এর তাপমাত্রা গলিয়ে ফেলার মতো অবস্থায় চলে যায়। নতুন এই কুলিং সিস্টেমের ফলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে নভোচারীদের।
ইয়াগহুবি জানান, ২০১৭ সালে আইএসএসে এই সিস্টেমটির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ পদ্ধতিটির আরও অত্যাধুনিক সংস্করণ তৈরি করা হবে। এতে ব্যয় দাঁড়াবে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।