মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

ভিয়েনা বৈঠক ও পরমাণু সমঝোতার ভবিষ্যৎ

পোস্ট হয়েছে: জুলাই ৭, ২০১৮ 

news-image

ভিয়েনায় শুক্রবার আমেরিকা ছাড়া পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ইরানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মুগেরিনি একটি বিবৃতি পড়ে শুনিয়েছেন। বিবৃতিতে ইরানের সঙ্গে তেল কেনাবেচা,ব্যাংকিং লেনদেন এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ওই বৈঠকের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট রূহানি জার্মান চ্যান্সেলর ও ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপ করেছেন। সংলাপে তিনি বলেছেন ভিয়েনা বৈঠকের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে এই সমঝোতার ভবিষ্যৎ।

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেলের সঙ্গে আলাপকালে ড. রূহানি বলেন, পরমাণু সমঝোতা অব্যাহত রাখার বাপারে ইউরোপীয় তিন দেশের প্রস্তাব যথেষ্ট হতাশাব্যঞ্জক। শুক্রবারের বৈঠকের ফলাফল যদি আশাব্যঞ্জক হয় এবং তাতে যদি ইরানের স্বার্থ রক্ষার বাস্তব কর্মপন্থা থাকে তাহলে তেহরান ইউরোপের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা চালিয়ে যাবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গেও টেলিফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রূহানি ইউরোপের তিন দেশের দেওয়া প্যাকেজ প্রস্তাবকে সন্তোষজনক নয় বলে উল্লেখ করেছেন।

ভিয়েনা বৈঠকের আগেভাগে ইরানের পক্ষ থেকে ইউরোপীয় দুই দেশকে সুস্পষ্ট বার্তা দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। এই বার্তা থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় ইরান বলতে চাচ্ছে কোনোরকম বাগাড়ম্বরে কাজ হবে না বরং সুস্পষ্ট, বাস্তব ও কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে।তা নাহলে ইরান বর্তমান পরিস্থিতিতে সমঝোতা বাস্তবায়নে ইউরোপীয় প্রস্তাবের সঙ্গে সহযোগিতা নাও করতে পারে।

ইরানের ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় ইউরোপ কীভাবে তেহরানের স্বার্থ রক্ষা করবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্টি কর্মপরিকল্পনা ও কার্যপ্রণালি থাকতে হবে বলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আজকের বৈঠকে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ড. জাওয়াদ জারিফ বলেন,পরমাণু সমঝোতার বাকি দেশগুলো আমেরিকার পদক্ষেপের মোকাবেলায় দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের রাজনৈতিক ইচ্ছা পোষণ করেছে। এখন কার্যক্ষেত্রে তাদের এই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।