বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পবিত্র আশুরা উদযাপন
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮

কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমানের অংশগ্রহণে বৃহস্পতিবার ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পবিত্র আশুরা উদযাপন করা হয়। এর আগের দিন অর্থাৎ বুধবার পালন করা হয়েছে আশুরার পূর্বদিন তথা তাসুয়া।
মহররমের চাঁদ একদিন দেরিতে ওঠায় বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের সব দেশে বৃহস্পতিবার পালিত হয় আশুরার পূর্বদিন- তাসুয়া। এসব দেশে শুক্রবার আশুরার শোক পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
রাজধানী তেহরানসহ সারা ইরানের বিভিন্ন শহরে লাখো কোটি জনতা আশুরার শোকমিছিলে যোগ দেন। ইরানের পাশাপাশি বেশিরভাগ আরব দেশে বৃহস্পতিবার আশুরা উদযাপিত হয়।

৬৮০ খ্রিস্টাব্দের ১০ মহররম খোদাদ্রোহী জালিম শাসক ইয়াজিদের শাসন মেনে নিতে অস্বীকার করায় বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা)’র নাতি হযরত ইমাম হুসেইন (আ.) এবং তাঁর পরিবার ও সঙ্গীদের ওপর কারবালা ময়দানে চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল এক অসম যুদ্ধ।
ইমাম ও তাঁর ৭২ জন সঙ্গী বীরত্বপূর্ণ এবং নীতি-নির্ধারণী ওই লড়াইয়ে শহীদ হয়ে অন্যায় ও অবিচারের মোকাবেলায় সর্বোচ্চ ত্যাগ বা শাহাদাতের অমর আদর্শ শিখিয়ে গেছেন বিশ্বমানবতাকে।
কারবালায় শোকার্ত মানুষের জনসমুদ্র
মহান আশুরার দিনে ইরাকের পবিত্র কারবালা শহরে অন্তত ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান শোক পালন করেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান আশুরার শোক পালন করতে পবিত্র কারবালা শহরে এসেছেন যেখানে রয়েছে আশুরা বিপ্লবের মহানায়ক হযরত ইমাম হুসাইন (আ)’র পবিত্র মাজার। ভারতীয় উপমহাদেশ, মধ্য-এশিয়া এবং আরব বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকেও বিশ্বনবী (সা)’র আহলে-বাইত প্রেমিকরা কারবালায় জড়ো হয়েছেন।

বিশ্বের নানা মহাদেশে ও এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোতেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আশুরার শোক-মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিয়ে শহীদ সম্রাট ইমাম হুসাইন ও তাঁর মহান সঙ্গীদের আত্মত্যাগের আদর্শের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা, অঙ্গীকার ও অনুরাগ দেখাচ্ছেন। পার্সটুডে।