দৃষ্টি নন্দন ঐতিহাসিক স্থাপনা ও আকর্ষণীয় সব পর্যটন স্পটে পরিপূর্ণ ইসফাহান। যার অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে দেশ বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন পর্যটকরা। ঠিক এমনই একটি ভ্রমণ পিপাসু দল বিদেশ থেকে সেখানে ছুটে গেলেন বিশেষ ট্রেনে করে।

ইসফাহান ইরানের কেন্দ্রীয় একটি জনবহুল শহর। বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই নগরীর ঐতিহাসিক স্থাপত্য শৈলী দেখতে মূলত ছুটে আসেন দেশি বিদেশি পর্যটকরা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিদেশি পর্যটকবাহী ‘সিল্ক রোড’ নামের বিশেষ ট্রেনটি ইসফাহানে এসে পৌঁছে।

শনিবার ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, হস্তশিল্প ও পর্যটন সংস্থার ইসফাহান কার্যালয়ের মহাপরিচালক শাহরাম আমিরি জানিয়েছেন, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক, ইতালি, সিংগাপুর,পেরু ও মালয়েশিয়ার ৬৮জন পর্যটক বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখার জন্য এসেছেন। তারা ‘সিল্ক রোড’ নামের ট্রেনে করে ইসফাহানে পৌঁছেছেন। এসব পর্যটক চেহেল সোতুন প্যালেস, নাকশে জাহান স্কয়ারের মতো ঐতিহাসিক আকর্ষণীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করবেন বলে জানান তিনি।

সংবাদ সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, ‘সিল্ক রোড’ ট্রেন ইরানের আরেক ঐতিহাসিক শহর ইয়াজদে পৌঁছে পর্যটকরা সেখানকার জরাস্ত্রুস্ট্রীয় অগ্নি মন্দির, আমির চাখমাক কমপ্লেক্স এবং ইয়াজদ গ্র্যান্ড মসজিদ ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরে পর্যটকদের নিয়ে সেখান থেকে ইসফাহানে এসে পৌঁছে ট্রেনটি।

এছাড়াও এসব বিদেশি পর্যটকের শিরাজের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে কেরমান, তেহরান, কাশান, সুসা ও গারমেহ ভ্রমণ করবেন তারা।

বিগত তিন বছরে বিপুল সংখ্যক বিদেশি পর্যটক নিয়ে ইসফাহানে এ পর্যন্ত ১৫টি স্পেশাল ট্রেন এসেছে। এর ধারাবাহিকতায় ‘সিল্ক রোড’ ট্রেন ৩ এপ্রিল ইরানে প্রবেশ করে। ট্রেনটি ২০ এপ্রিল দেশ ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন আমিরি। সূত্র: ইরান ডেইলি।