ফারসি ভাষা ও ঐতিহ্যের সংরক্ষক মহাকবি ফেরদৌসী
পোস্ট হয়েছে: মে ১৬, ২০২১
ফারসি ক্যালেন্ডারের ২৫ অরদিবেহেশ্ত অনুযায়ী ১৫ মে ফারসি মহাকবি ফেরদৌসীর জাতীয় স্মৃতি দিবস। তার রচিত বিখ্যাত ফারসি মহাকাব্য ‘শাহনামা’ ফারসি পরিচিতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের সংরক্ষক।
পৃথিবীর বুকে বিশ্ববিখ্যাত যে ক’জন কবির আগমন ঘটেছে ফেরদৌসীর নাম তাদের অন্যতম। তিনি ছিলেন একাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি। তার পুরো নাম হাকিম আবুল কাসেম ফেরদৌসী তুসি (৯৪০-১২০০)। উত্তর-পূর্ব ইরানের বর্তমান খোরাসার রাজাভি প্রদেশের তুস শহরের কাছে পাজ গ্রামে ফেরদৌসীর জন্ম। শতাব্দীকাল ধরে বহু কিংবদন্তির মুখে কবির প্রশংসা শোনা গেলেও তাঁর শৈশব ও শেষ জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়নি।
তিনি বাল্য বয়স থেকেই কবিতা লিখতে ভালবাসতেন। কম বয়সেই বিয়ে করেন। যৌবনে তিনি একান্তভাবে কবিতা চর্চায় আত্মনিয়োগ করেন এবং রাজকীয় উদ্যানের পার্শ্ববর্তী ছোট্ট নদীর তীরে বসে কাব্য লিখতেন। সুখ ও শান্তিময় জীবনের দিনগুলো এখানেই তিনি কাটাতেন। কিন্তু সুখ তার জীবনে বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। তার পরিবার তুসের শাসনকর্তার খারাপ দৃষ্টিতে পতিত হল। অবশেষে নিজ গৃহে অবস্থান করাই ছিল তার জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার। তার মাত্র একটি কন্যা সন্তান ছিল।
কন্যাকে সৎপাত্রে বিবাহ দেওয়া ছিল তার জীবনের বড় আশা। এছাড়া নিজ দেশের জনগণের দুঃখ দুর্দশা, অভাব অনটন দেখে তার মন প্রায়ই কেঁদে উঠত। তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন, যে ভাবেই হোক তিনি জনগণের দুঃখ দুর্দশা দূর করবেন।
১০২০ খ্রিষ্টাব্দে মতান্তরে ১০২৬ খ্রিষ্টাব্দে কবি এ অশান্তময় পৃথিবী থেকে চির বিদায় গ্রহণ করেন। সূত্র: মেহর নিউজ এজেন্সি।