প্রধান পাঁচ মহাকাশ প্রযুক্তি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ইরান
পোস্ট হয়েছে: মার্চ ১৯, ২০১৯

মহাকাশ প্রযুক্তির প্রধান প্রধান ৫টি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন ইরানি বিজ্ঞানীরা। এই প্রকল্পগুলোকে দেশটির মহাকাশ প্রযুক্তির প্রধান অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হোসেইন সামিমি এই তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইরানি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
তিনি জানান, আগামী ফারসি বছর ১৩৯৮ সালের মধ্যে ‘নাহিদ ১’ টেলিযোগাযোগ স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠানো হবে এবং এই সময়ের মধ্যে ‘নাহিদ ২’ স্যাটেলাইটের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।
মহাকাশ প্রযুক্তি প্রকল্পগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে হোসেইন সামিমি বলেন, আগামী বছর ‘সামানা’ নামে আরেকটি অন্যতম প্রধান প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নিয়ে মহাকাশ কেন্দ্র কাজ করছে। এটাকে ঊর্ধ্বতম ধাপের পদ্ধতি বলা হয়। ইন্টারনেট ব্যালুন হচ্ছে আরেকটি প্রধান মহাকাশ প্রযুক্তি প্রকল্প। এই প্রকল্পটি আগামী বছরের প্রথমার্ধে চালু হবে বলে জানান তিনি।
ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আরও জানান, মহাকাশ কেন্দ্র আগামী বছর ইরানের ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা সংস্থা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও ইরান মেটেরোলোজিক্যাল অরগানাইজেশন সহ অন্যান্য সংস্থার সাথে সহযোগিতার বিকাশ ঘটানোর লক্ষেও কাজ করবে।
গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ইরান স্পেস রিসার্চ সেন্টারের ভেন্যুতে ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক (ইএমসি) টেস্টিং ল্যাবের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ইরান দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পায়াম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। কিন্তু স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট প্রয়োজনীয় গতিতে উড়তে না পারায় এটি কক্ষপথে পৌঁছতে পারে নি। ৯০ কেজির বেসামরিক পায়াম স্যাটেলাইট ৫শ কিলোমিটার দূরত্বের কক্ষপথে পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়। এটি উৎক্ষেপণের জন্য দেশীয়ভাবে তৈরি সিমোর্ঘ স্যাটেলাইট ক্যারিয়ার রকেট ব্যবহার করা হয়। সূত্র: তেহরান টাইমস।
।