মঙ্গলবার, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

English

পাকিস্তান সম্মেলনে ইরানি স্পিকার: সাংস্কৃতিক ভুল ব্যাখ্যার ফল হলো সন্ত্রাসবাদ

পোস্ট হয়েছে: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭ 

news-image

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সাংস্কৃতিক ভুল ব্যাখ্যার কারণে সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত স্পিকার সম্মেলনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. আলী লারিজানি একথা বলেছেন।

সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ ও হুমকি বিষয়ক এ সম্মেলনে ড. লারিজানি সন্ত্রাসবাদকে মানবতার জন্য দুর্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ সমস্যা তৈরি হওয়ার পেছনে চরমপন্থা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সরবরাহ করা তথ্য বিরাট ভূমিকা রেখেছে। ইরানের স্পিকার বলেন, নানা কারণে বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আমরা আজ এখানে যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করছি তার জন্মস্থান এ অঞ্চল।”

ড. লারিজানি বলেন, গত ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলের সহজ-সরল ও কম  শিক্ষিত কিংবা লেখা-পড়া না জানা লোকজনকে বিশেষ একটি মতাদর্শের দিকে টানা হয়েছে এবং সেখানে তাদের ধর্মীয় স্বার্থ বা আগ্রহকে যোগ করে দেয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে তাদেরকে এক রকমের সন্ত্রাসবাদে বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, ইসলামি মতাদর্শে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও বলদর্পী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার নৈতিক ভিত্তি রয়েছে কিন্তু ওয়াহাবিরা যে চরমপন্থা মতাদর্শ চালু করেছে তা মূল ইসলামকে বিকৃত করে ভাতৃহত্যার পথ উন্মুক্ত করেছে। অথচ ইসলামে একজন নিপীড়িত মানুষকে হত্যা করা পুরো মানবতাকে হত্যার শামিল বলে গণ্য করা হয়।

ড. লারি জারিজানি বলেন, “সন্ত্রাসী তৎপরতায় জড়িত লোকজনের অনেকেই আল্লাহর পথে জিহাদের নামে এই ঘৃণ্য কাজটিই করছে কিন্তু ইসলামি জিহাদের আলাদা নিয়ম-কানুন রয়েছে। ইসলামি  জিহাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শোষণ-বঞ্চনা ও নিপীড়িন বন্ধের ব্যবস্থা করা; নিরীহ মানুষ হত্যা ও মস্তক ছিন্ন করা কিংবা অন্য সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে চিহ্নিত স্থানগুলোকে ধ্বংস করা নয়।

পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের স্পিকার আইয়াজ সাদিকের আমন্ত্রণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের ক্ষেত্রে নানামুখী চ্যালেঞ্জ এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতা ও ভূমিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক ও আফগানিস্তানের  সংসদ স্পিকাররা।সূত্র:পার্সটুডে।