ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ লঙ্ঘন করলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে চড়া মূল্য দিতে হবে। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন-কে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন।

সিএনএন’র পক্ষে সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন সাংবাদিক ক্রিস্ট্রিয়ান আমানপুর। আর প্রেসিডেন্ট রুহানি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য এ মুহূর্তে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন। তিনি সিএনএন-কে বলেন, “আমি বিশ্বাস করি অপ্রয়োজনীয় কোনোকিছুর জন্য আমেরিকানরা এমন মূল্য দিতে চাইবেন না।”

ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি পরমাণু সমঝোতা বাতিল করে তাতে আমেরিকার জন্য কোনো ফল বয়ে আনবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার বিশ্বাসযোগ্যতা আরো কমে যাবে।

ইরান ও ছয় জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতার ভবিষ্যত নিয়ে যখন উদ্বেগ বাড়ছে তখন প্রেসিডেন্ট রুহানি এসব কথা বললেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই পরমাণু সমঝোতা বাতিলের কথা বলে আসছেন।

মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতন ও এই সংকটে ইরানের অবস্থান জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞে দেশটির নিন্দা জানানো উচিত।একইসাথে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া  রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্যে ত্রাণ পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্যাতন ও গণহত্যাকে জাতিগত নির্মূল বলে অভিহিত করেছে।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সিরিয়া যুদ্ধে তার দেশের সমর্থনের কথা স্বীকার করে বলেন, দেশটিতে তেহরানের হস্তক্ষেপ সফল হয়েছে এবং আইএস সন্ত্রাসীরা পরাজয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, সিরিয়া সংকটের অবসান ও ভবিষ্যত নির্ভর করছে আলোচনার উপর এবং আসাদ সরকার বিরোধীদের অবশ্যই একটি চুক্তিতে আসতে হবে। তবে দেশটির জনগণই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

-রিয়াল ইরান,পার্সটুডে, প্রেসটিভি।