পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)-এর ব্যক্তিত্ব
পোস্ট হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮

ড. মাওলানা এ. কে. এম মাহবুবুর রহমান: ইমাম হোসাইন (আ.) শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, একটি চেতনা, হক ও বাতিলের নির্ণয়কারী। দুনিয়ার ইতিহাসে ন্যায়-ইনসাফকে প্রতিষ্ঠিত করা, অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন, স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য যাঁরাই নিজের জান ও মাল দিয়ে সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে কালোত্তীর্ণ অমর ব্যক্তিত্ব হিসাবে সত্যাণ্বেষীদের মন-মগজে স্থান জুড়ে আছেন, যাঁদের আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে যুগে যুগে কুফ্র, শির্ক তথা তাগুতের মসনদ জ্বলে-পুড়ে ভস্মীভূত হচ্ছে এবং হবে ইমাম হোসাইন (আ.)-এর স্থান তাঁদের শীর্ষে রয়েছে এবং থাকবে। ইমাম হোসাইন (আ.) কেয়ামত পর্যন্ত বাতিলের বিরুদ্ধে সত্যের সকল যুদ্ধের সেরা ইমাম বা অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা।
হোসাইন (حسين) নামটির মাঝেই রয়েছে সুগভীর তাৎপর্য। حسي حسين শব্দের حح হরফ দিয়ে حسن (হুসন) বা সুন্দর, আকর্ষণীয়, দৃষ্টিনন্দন, শ্রুতিমধুর, বাহ্যিক ও আত্মিক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব বুঝায়। س(সীন) দ্বারা সাআদাত سعادت বা দৃঢ় প্রত্যয়, ي ي(ইয়া) দ্বারাيقين (ইয়াকীন) বা দৃঢ় প্রত্যয়,ن ن (নূন) হরফ দ্বারা نور نورবা আলো ও জ্যোতি বুঝায়। অর্থাৎ حسين(হোসাইন) এমন সত্তা, এমন ব্যক্তিত্ব যিনি জাগতিক, মানসিক, আত্মিক সকল প্রকারের সৌন্দর্যের প্রতীক, সৌভাগ্য-সমৃদ্ধির পথ নির্দেশক, দৃঢ় প্রত্যয়ীর সর্বশ্রেষ্ঠ নমুনা, আপসহীনতার মূর্ত প্রতীক, আর সকল যুগের সকল মানুষের জন্য নূর বা আলোকবর্তিকা। হাদীসের ভাষায়-
ان الحسين مصباح الهدى و سفينة النجاة
‘হোসাইন হেদায়েতের আলোকবর্তিকা ও নাজাতের তরী’’
‘হোসাইন’ নামটিও অতি পবিত্র। এ নাম মানুষের দেয়া নয়। এ নামও মহান আল্লাহ তা’আলা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে আল্লামা নাসাফী (রহ.) বলেন :
ولما ولد الحسين قال يا محمد ان الله يهنيك بهذا المولود و يقول لك سمه باسم ابن هارون شبير و معناه حسين- (نزهة ا لمجالس, ص 229)
‘হোসাইন জন্মগ্রহণ করার পর হযরত জিবরাইল (আ.) এসে বললেন : ‘‘হে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহ তা’আলা এ নবজাত শিশুর জন্মে আপনাকে অভিবাদন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন, হযরত হারুন (আ.)-এর ছেলের নামে তাঁর নাম রাখতে। তাঁর ছেলের নাম শাব্বির, যার আরবি অর্থ হয় হোসাইন’’।’ (নুযহাতুল মাজালেস : পৃ. ২২৯)
ইমাম হোসাইন (আ.) ছিলেন রাসূলে আকরাম নূরে মুজাস্সাম (সা.)-এর আহলে বাইতের অন্যতম স্তম্ভ। আহলে বাইত সম্পর্কে আল কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে রাসূলে পাক (সা.) তাঁদের পূত-পবিত্রতার কথা ঘোষণা করেছেন। বিশ্ববিখ্যাত হাদীসগ্রন্থ মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে :
عن عائشة خرج النبى صلى الله عليه وسلم غداة و عليه مرط مرحل من شعر اسود فجاء الحسن بن على فادخله ثم جاء الحسين فدخل معه ثم جائت فاطمة فادخلها ثم جاء على فادخله ثم “قال انما يريد الله ليذهب عنكم الرجس اهل البيت و يطهركم تطهيرا
‘উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা বলেন : মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভোরবেলায় ঘর থেকে বের হন। তাঁর গায়ে ছিল পশমের মোটা ইয়েমেনী চাদর। তখন হাসান ইবনে আলী আসলেন। মহানবী তাঁকে এই বড় চাদরের ভেতর ঢুকিয়ে নিলেন, এরপর হোসাইন আসলেন তিনি তাঁকেও চাদরের ভেতর ঢুকিয়ে নিলেন, এরপর ফাতেমা আসলেন, পয়গম্বর (সা.) তাঁকেও চাদরের ভেতর ঢুকালেন। সবশেষে আলী আসলে মহানবী আলীকেও চাদরের মধ্যে ঢুকিয়ে নিলেন। তারপর মহাগ্রন্থ আল কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেন :
انما يريد الله ليذهب عنكم الرجس اهل البيت و يطهركم تطهيرا
‘আল্লাহর ইচ্ছাই হলো তিনি আহলে বাইত থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করবেন এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করবেন’।’’ (সূরা আহযাব : ৩৩)
(মুসলিম শরীফ, ৫ম খণ্ড, পৃ. ১৮৮৩; ফতহুল কাদীর শওকানী, ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ২৭৯)
এ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী উক্ত পাঁচজনকে চাদরের ভেতর ঢুকিয়ে কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে আল্লাহ্র নবী আহলে বাইতের মর্যাদা যেভাবে তুলে ধরেছেন একজন ঈমানদারের জন্য এটাই যথেষ্ট। মহান আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র এরশাদ করেন :
قل لا اسئلكم عليه اجرا الا المودة في القربـى ومن يقترف حسنة نزد له فيها حسنا ان الله غفور شكور
‘হে রাসূল আপনি বলুন : আমি আমার দাওয়াতের জন্য তোমাদের কাছে আমার আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া অন্য কিছু চাই না। যে কেউ উত্তম কাজ করে আমি তার জন্য তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাকারী, গুণগ্রাহী।’ (সূরা আশ্শুরা : ২৩)
আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁদের পদাংক অনুসরণই সত্য পথে টিকে থাকা এবং গোমরাহী থেকে নিজেকে রক্ষা করার অন্যতম উপায় হিসাবে আল্লাহর নবী বিদায় হজ্বের ভাষণে ঘোষণা দিয়েছেন।
عن جابر (رض ) قال رأيت رسول لله صلى الله عليه و سلم فـى حجته يوم عرفة و هو على ناقته القصواى يخطب فسمعته يقول يا ايها الناس انـى تركت فيكم ما ان اخذتم به لن تضلوا كتاب الله و عترتى اهل بيتي
‘হযরত জাবের (রা.) বলেন, ‘আমি আরাফার দিনে হজ্ব অনুষ্ঠানে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে তাঁর কাসওয়া নামক উটনীর পিঠে বসা অবস্থায় সমবেত জনতার উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলতে শুনেছি- হে মানবমণ্ডলী! আমি তোমাদের কাছে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি তোমরা তা ধারণ করলে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। তা হলো আল্লাহর কিতাব ও আমার আহলে বাইত।’ (জামে তিরমিজি)
হযরত ইমাম হাসান (আ.) ও ইমাম হোসাইন (আ.) কত বড় ব্যক্তিত্ব ছিলেন, রাসূলে আকরাম (সা.)-এর ঘোষণা থেকে তা সহজেই অনুমেয়।
عن ابي سعيد قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم الحسن و الحسين سيدا شباب اهل الجنة (رواه الترمذى, ج 2 , ص 218)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন : ‘হাসান ও হোসাইন দু’জন বেহেশতবাসী যুবকদের নেতা।’ (জামে তিরমিযি, ২য় খণ্ড, পৃ. ২১৭)
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর ঘোষণার প্রেক্ষিতেই মুফতী শফী (রহ.) লিখেছেন :
حب اهل بيت اطهار جزو ايمان هى – ان پرو حشيانه مظالم كى داستان بهلانـى كى قابل نهين حضرت حسين (رض) اور ان كى رفقاء كى مظلومانه اور درد انگيز شهادت کا واقعه جس کی دل مين رنج و غم اور درد پيدانه کری وه مسلمان کيا انسان بهی نهين – (شهيد کربلا -108)
‘পবিত্র আহলে বাইতের মুহাববাত ঈমানের অংশবিশেষ। আর তাঁদের প্রতি কৃত পাশবিক অত্যাচারের কাহিনী ভুলে যাওয়ার মতো নয়। হযরত হোসাইন (রা.) এবং তাঁর সাথীদের ওপর নিপীড়নমূলক ঘটনা এবং হৃদয়বিদারক শাহাদাত যার অন্তরে শোক এবং বেদনা সৃষ্টি করে না, সে মুসলমান তো নয়ই, মানুষ নামের অযোগ্য।’
ইমাম হোসাইন (আ.) ছিলেন মহানবী (সা.), শেরে খোদা হযরত আলী (আ.) এবং খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.)-এর হাতে গড়া এক মহান ব্যক্তিত্ব। আল্লাহর দীনের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় না করে আপসহীনভাবে সত্যের সাক্ষ্য হিসাবে নিজেকে অটল, অবিচল রেখে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে দীনকে ঠিক রাখার বাস্তব উদাহরণ ছিলেন হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)। সত্যের প্রতি অবিচল থাকার অনন্য দৃষ্টান্ত ফুটে উঠেছিল হোর ইবনে ইয়াযীদ তামিমীর সেনাবাহিনীর সামনে ইমাম হোসাইনের প্রদত্ত ভাষণে। তিনি বলেন :
ايها الناس ان رسول الله عليه صلى الله وسلم قال من راى سلطانا جائراً مستحلا لحرام الله ناكثا لعهد الله مخالفا لسنة رسول الله يعمل فـى عباد الله بالاثم و العدوان فلم يغير عليه بفعل و لا قول كان حقا على الله ان يدخله مدخله، الا و ان هولاء قد لزموا طاعة الشيطان و تركوا طاعة الرحمن و اظهروا الفساد و عطلوا الحدود و استأثروا بالفئ و احلوا حرام الله و حرموا حلاله و انا احق من غير
‘হে লোকসকল! রাসূলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন অত্যাচারী শাসককে দেখবে যে আল্লাহর হারামকে হালাল করছে, আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, রাসূলের সুন্নাতের খেলাফ করছে, আল্লাহর বান্দাদের সাথে গুনাহ্ ও শত্রুতাপূর্ণ কাজ করছে, কাজ ও কথার দ্বারা কেউ যদি তা প্রতিহত করার না থাকে তখনই আল্লাহ তা’আলা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’ তিনি বলেন : ‘সাবধান! ওরা (ইয়াযীদ গোষ্ঠী) রহমানের (আল্লাহর) আনুগত্য ছেড়ে দিয়েছে, বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে, আল্লাহর হদ বা সীমা বন্ধ করে দিয়েছে, বিনা পরিশ্রমে সম্পদ ভোগে মেতে উঠেছে, আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা হালাল করছে, আর যা হালাল করেছেন তা হারাম করছে, এ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ উল্টিয়ে দিতে আমিই সবচেয়ে বেশি অধিকার রাখি।’ (তারিখে তাবারী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩০৭)
কারবালায় যাওয়ার পথে অনেকেই ইমাম হোসাইন (আ.)-কে বলেছেন এ পথ বিপজ্জনক। আপনি বরং ফিরে যান। ইমাম হোসাইন (আ.) তাদের জবাবে বলেছিলেন :
سامضى وما بالموت عار على الفتى
اذا ما نوى حقا و جاهد مسلما اذا ما نوى حقا و جاهد مسلما
‘আমাকে যেতে নিষেধ করছো? কিন্তু আমি অবশ্যই যাবো, আমাকে মৃত্যুর ভয় দেখাও? একজন বীরের কাছে কি মৃত্যু অপমানজনক?’
পবিত্র হজ্ব অনুষ্ঠানের মাত্র দু’দিন বাকি, এ সময় হজ্ব আদায় না করে কিয়ামের (আন্দোলনের) পথ বেছে নিয়ে মক্কা থেকে কুফার পথে পাড়ি জমানো কত বলিষ্ঠ ঈমান ও খেলাফতে ইলাহিয়া রক্ষার বাস্তব প্রমাণ তা ইতিহাস, দর্শন ও শিক্ষা গ্রহণকারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
ইমাম হোসাইন (আ.) ছিলেন রাসূলে খোদা (সা.)-কে ভালোবাসার মাধ্যম।
عن ابى هريرة قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم من احب الحسن و الحسين فقد احبنى و من ابغضهما فقد ابغضنى
হযরত আবু হুরাইরা বর্ণনা করেন : ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি হাসান ও হোসাইনকে ভালোবাসবে সে অবশ্যই আমাকে ভালোবাসবে, আর যে তাদের প্রতি দুশমনী রাখবে, সে অবশ্যই আমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করবে।’ (ইবনে মাজা)
আল কুরআনের আয়াত ও রাসূলে খোদা (সা.)-এর ঘোষণা মোতাবেক উম্মতের নাজাতের তরী হযরত হোসাইন (আ.)। তাঁর শাহাদাতের ঘটনা শুনে শুধু ক্রন্দন বা আফসোস করাই তাঁর প্রতি ভালোবাসার প্রকৃত প্রমাণ নয় বরং ইয়াযীদ ও তার উত্তরসূরি নব্য ইয়াযীদ যারা আল্লাহর এ যমিনে হারামকে হালাল করছে, আবার হালালকে হারাম করছে, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানকে বাদ দিয়ে তাগুতী শাসন চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জান, মাল তথা সবকিছু দিয়ে ‘বাঁচলে গাজী আর মরলে শহীদ’ এ প্রত্যয় নিয়ে প্রত্যক্ষ জিহাদে অবতীর্ণ হওয়াই হযরত হোসাইন (আ.)-এর প্রতি ভালোবাসার সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা। ইয়াযিদী শাসন চলবে, সব বাতিলকে মেনে নেবো আর ইমাম হোসাইন (আ.)-এর জন্য কাঁদবো এটা হবে মুনাফিকের ঘৃণ্যপথ। তাই আজকে আসুন ইমাম হোসাইন (আ.)-এর মতো দীপ্ত শপথ গ্রহণ করি। হয় আমরা হকপন্থীরা হকের ঝাণ্ডা উঁচু করেই ছাড়বো, না হয় শাহাদাতের পেয়ালা পান করে শহীদানে কারবালার সাথী হবো। আর কবি নজরুলের কণ্ঠে বলে উঠবো :
উষ্ণীষ কোরানের, হাতে তেগ আরবির,
দুনিয়াতে নত নয় মুসলিম কারো শির,
তবে শোন ঐ বাজে কোথা ফের দামামা
শমশের হাতে নাও, বাঁধো শিরে আমামা
বেজেছে নাকাড়া, হাঁকে নকীবের তূর্য,
হুঁশিয়ার ইসলাম, ডুবে তব সূর্য।
জাগো, ওঠো মুসলিম, হাঁকো হায়দারি হাঁক
শহীদের খুনে সব লালে-লাল হয়ে যাক।
(অগ্নিবীণা)
পরিশেষে সুলতানুল হিন্দ খাজা গরীবে নওয়াজ মঈনুদ্দীন চিশতী আজমেরী (রহ.)-এর কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই :
جان من نثارم بنام حسين
من غلام غلامان حسين من غلام غلامان حسين
‘হোসাইনের নামে আমার জীবন উৎসর্গকৃত
আমি কেবল তাঁরই গোলাম যিনি হোসাইনের গোলাম’
গ্রন্থপঞ্জি : ১. কুরআন মজীদ; ২. সহীহ্ মুসলিম শরীফ; ৩. তিরমিযি শরীফ; ৪. ইবনে মাজা; ৫. নুযহাতুল মাজালেস; ৬. ফতহুল কাদীর শওকানী; ৭. মিরকাত ফি শারহিল মিশকাত; ৮. শহীদে কারবালা- মুফতী শফী (রহ.); ৮. তারিখে তাবারী; ১০. অগ্নিবীণা- কাজী নজরুল ইসলাম; ১১. দিওয়ানে খাজায়ে হিন্দ; ১২. মাকতালুল হোসাইন; ১৩. নেহায়াতুল আরব; ১৪. আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া।
* অধ্যক্ষ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা ও
চেয়ারম্যান, ফার্সী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ