‘নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং সম্পর্ক উন্নত করছে ইরান’
পোস্ট হয়েছে: জানুয়ারি ১৬, ২০১৭

নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ইরানি ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করছে তবে এখনো প্রযুক্তিগত, বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক বাধাগুলো রয়েই গেছে। একথা জানিয়েছেন ইরানের মিল্লি ব্যাংকের বৈদেশিক বিনিময় শাখার ভাইস গভর্নর গোলাম রেজা পানাহি।
শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে তিনি বলেন, অনেক ইরানি ব্যাংক বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আবার লেনদেনের সম্পর্ক চালু করেছে এবং তারা লেটার অব ক্রেডিট বা এলসি এবং ব্যাংক ড্রাফ্ট খোলার মতো নানা কাজ করছে। বিশ্বের বড় বড় ব্যাংক ইরানি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এখনো সম্পর্ক স্থাপন না করার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, অর্থায়ন প্রকল্পে বড় ব্যাংক ও সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি থাকা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক ব্যাংককে কেবল লেনদেনের সম্পর্কের জন্যই ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার পথে কী কী বাধা রয়েছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গোলাম রেজা বলেন, এটা ঠিক যে, সংস্থাগুলোর উচিত একে অন্যকে চেনা উচিত যা আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অর্জন করা সম্ভব।
দুর্নীতি, অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিবেদন মান বা আইএফআরএস , ব্যাংকিং নজরদারির বিষয়ে গঠিত বাসেল কমিটি ও আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের কথা উল্লেখ করেন পানাহি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য এসব আন্তর্জাতিক নিয়মরীতি জরুরি। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইন অনুমোদনের পর ইরানের ওপর বাধা তুলে নেয়া আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও জানান তিনি। এরইমধ্যে অন্তত ২৫টি ব্যাংক ও সুইফট সিস্টেমের সঙ্গে ইরান সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানান পানাহি।
গত বছরের জুন মাসে ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স অসহযোগিতাকারী দেশের তালিকা থেকে ইরানকে বাদ দেয়। সূত্র:পার্সটুডে