না হেসে পারলনা কুমিরও!
পোস্ট হয়েছে: অক্টোবর ২, ২০১৬

আরও এক হাসির খবর! এবার না হেসে পারেনি কুমির। লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত লস এমিগোস নদীর পাড়েই বিশ্রাম নিচ্ছিলো এক কুমির। এসময়ই জঙ্গলাকীর্ণ এলাকা থেকে ছুটে আসে বেশ কয়েকটি রঙিন প্রজাপতি। আর এসেই কোন কথা নেই তারা সোজা গিয়ে আসন গেড়ে বসে কুমিরটির নাকের ডগায়, মাথার উপর, চোখের পাশে। কুমিরটি তখন স্থির হয়ে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তাদের দেখছিলো। তার পরই অদ্ভূত এক চোখ বোজা আনন্দে হেসে ওঠেন মহাশয়।
লাল, নীল, হলুদ বর্ণের প্রজাপতিরা কী এমন বার্তা দিলো যে, স্বয়ং কুমিরও হেসে উঠলো? এ কথার উত্তর জানেন না এই দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধারণ করা মার্ক কাওয়ানও। আমেরিকার মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির এই অস্ট্রেলীয় বিজ্ঞানী সম্প্রতি তার কয়েক সহকর্মীকে নিয়ে সেখানে গবেষনার কাজে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৫৫ বছর বয়সী বাস্তু বিজ্ঞানী কাউয়ান ডেইলি মেইলে প্রকাশিত ছবিটির বিষয়ে বলেন, ‘অবসর পেলেই আমি বন্য জীবন নিয়ে ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আর এটা শুধুমাত্র আমার ব্যাক্তিগত আনন্দের জন্যই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ক্যামেরাটি বাজারের সেরা ক্যামেরা নয়, তবে এটা দারুণ ছবি তুলতে পারে। সুযোগ পেলে ওই লস এমিগোস নদীর তীরে আমি আবারও যেতে চাই।’
কিছু দিন পূর্বে নিউ সাইন্টিস্ট পত্রিকায় এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো- মৌমাছি ও প্রজাপতি লবন এবং খনিজের অভাববোধ করলে তারা কুমিরের চোখের জল পান করে।
হাস্যোজ্জ্বল ওই কুমিরটি ছিলো আমেরিকান ক্যাইমান প্রজাতির। পুয়ের্তোরিকো, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, পেরু, কলম্বিয়া এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানায় প্রায় ৬ ধরণের ক্যাইমেন কুমিরের সন্ধান পাওয়া যায়।
এই প্রজাতির কুমিররা জলাভূমি, বন্যা প্লাবিত এলাকা, ম্যানগ্রোভ বন, কম স্রোতের নদী এবং লেকে বিচরণ করে।
আবাসন ধ্বংস এবং চোরা শিকারের জন্য ক্যাইমান কুমিররা বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। এরা আকারে ৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। সূত্র: ডেইলি মেইল